গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, সম্প্রতি চিনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর পরে বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বিভিন্ন গুজব ছড়াতে থাকে। এমনকী হোয়াটসঅ্যাপে বেশ কিছু মেসেজের মাধ্যমে দাবি করা হয় মরফিন নামক আরও এক ধরনের ভাইরাস সংক্রমণের কথা। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়াতেই জানানো হয় যে এই মরফিন ভাইরাস ছড়ানোর কারণ নাকি মুরগির মাংস ও ডিম। বিশেষ করে ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক করা হয় ওই সব মেসেজের মাধ্যমে। ক্রমশ ছড়াতে থাকে সেই গুজব। এর ফলে যে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়েছে বাজারে, তা স্বীকার করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এই প্রসঙ্গে জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-২ ডাঃ অমিতাভ মণ্ডল বলেন, এই ধরণের প্রচার নিতান্তই গুজবভিত্তিক। রোগ নিয়ে কিছু আজগুবি প্রচার করা হচ্ছে। ডিম ও মাংস সঠিক আঁচে ও পদ্ধতি মেনে রান্না করে খেলে ভয়ের কিছুই নেই। তবে কী উদ্দেশ্যে এই ধরণের গুজব ছড়ানো হচ্ছে তা তাঁর জানা নেই বলে জানিয়েছেন ওই স্বাস্থ্য আধিকারিক।
এদিকে মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, বিষয়টি আমাদেরও নজরে এসেছে। সম্প্রতি একটি বিয়েবাড়িতে গিয়ে দেখেছি, অনেকেই মুরগির মাংস এড়িয়ে চলছেন। আমরাও জানি যে পুরো আশঙ্কাটিই ভিত্তিহীন। নির্দিষ্ট কোনও মহল থেকে এধরনের গুজব প্রচার করা হয়ে থাকতে পারে। আমরা জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করব, সক্রিয়ভাবে এইসব গুজবজনিত পরিস্থিতির মোকাবিলার করার জন্য।
শহরের নেতাজি সুভাষ পুর বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, মুরগির, বিশেষত ব্রয়লার মুরগির ডিমের চাহিদা বেশ খানিকটা কমেছে। অনেকেই ব্রয়লার মুরগির মাংস কেনার ক্ষেত্রেও অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁরা বলছেন, এই মুরগির মাংস বা ডিম খেলে নাকি সংক্রমণ হতে পারে বলে শুনেছেন তাঁরা।
বিজি রোডের ধারে ঠেলাগাড়িতে করে ডিমের চপ, ঘুগনি ইত্যাদি বিক্রি করা এক বিক্রেতাও বলেন, অনেকেই ডিমের চপ খেতে চাইছেন না। তাই সংখ্যায় কম তৈরি করছি। পরিবর্তে ভেজিটেবল চপের চাহিদা খানিকটা বেড়েছে।
মকদুমপুর পুর বাজারে দৈনন্দিন বাজার করতে আসা এক ছোট ব্যবসায়ী সুকান্ত লাহা বলেন, রবিবার দিন পরিবারের সদস্যদের জন্য মাংস কিনি। কিন্তু গত সপ্তাহে এবং এই রবিবারে ব্রয়লার মুরগির মাংস কিনিনি। বাড়ির লোকজন বলেছে, বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের মাধ্যমে নাকি তারা জেনেছে যে আপাতত কয়েক দিন মুরগির মাংস বা ডিম না খাওয়াই ভালো। বাড়ির লোক চাইছে না তাই কিনছি না। তবে দেশি মুরগির মাংস ও ডিম কিন্তু কিনছেন অনেকেই। হাঁসের ডিমও বিক্রি হচ্ছে প্রায় আগের মতোই।