পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দিনের বেলায় ওসব মোটর বাইক কম দেখা গেলেও সন্ধ্যা নামতেই এদের দাপট বাড়ে। শহরের মূল রাস্তা সহ অলিগলি এরা দাপিয়ে বেড়ায়। ফলে প্রতিপদে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
মাথাভাঙা থানার ট্রাফিক ওসি শাহ আলি ইমাম বলেন, শহরে দীর্ঘদিন ধরেই একাংশ উঠতি বয়সি ছেলেদের বিকট আওয়াজে মোটর বাইক, স্কুটার ছুটিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। এনিয়ে আমাদের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগও আসে। আমরা অনেকদিন ধরেই ওসব বাইক চালকদের ধরার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু পুলিস দেখলেই ওরা পালিয়ে যাচ্ছিল। তবে আমরা হাল ছাড়িনি। গত একসপ্তাহে আমরা এমন ৭০টি মোটর বাইক আটক করি। ওসব বাইক চালকের অভিভাবকদের থানায় ডেকে নিয়ে আসি। আমরা ঠিক করেছি, এখন থেকে এমন কোনও বাইক, স্কুটার ধরা পড়লে আইনানুগ পদক্ষেপ করব। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট চালকের লাইসেন্স বাতিল করার জন্য পরিবহণ দপ্তরের সঙ্গে কথা বলব।
মাথাভাঙা থানার পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত একসপ্তাহে তারা ৭০টি এমন বাইক, স্কুটার আটক করেছে। ওসব বাইক, স্কুটারের সাইলেন্সার পাইপ পাল্টানোর জন্য পুলিস হুঁশিয়ারি দিয়েছে। মাথাভাঙা থানার ট্রাফিক পুলিস জানিয়েছে, শহরে এমন বাইকগুলিকে তারা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে। সবসময়ে ওদের ধরা যায় না। অস্বাভাবিক গতিতে চলায় চোখের পলকে বাইক ছুটিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিস জানিয়েছে, কিছু উঠতি বয়সি ছেলে বাইকের ইঞ্জিনের সঙ্গে যুক্ত সাইলেন্সারের পাইপ ছিদ্র করে দিচ্ছে। এতে ইঞ্জিন স্টার্ট করলেই বিকট আওয়াজ শুরু হয়। মোটর বাইক ছোটালে সেটি আরও বিকট আওয়াজ হয়। ওই শব্দে পথচলতি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বয়স্ক, শিশু, অসুস্থরা আঁতকে উঠছেন। যে রাস্তায় ট্রাফিক পুলিস কর্মীরা দাঁড়িয়ে থাকেন ওই রাস্তা দিয়ে এলেও অনেক সময়ে এরা মোটর বাইক ঘুরিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ট্রাফিক পুলিস জানিয়েছে, যে ৭০টি বাইক আটক করা হয়েছিল সেগুলির চালকদের অভিভাবকদের থানায় ডেকে এনে সতর্ক করা হয়েছিল।
ওইসব যুবকদের সঙ্গে পুলিস কর্মীরা কথা বলে জানতে পেরেছেন, শোরুম থেকে মোটর বাইক কেনার পর সার্ভিসিং সেন্টারে গিয়ে সাইলেন্সারের পাইপ তারা কেটে নেয়। বাইক সারানোর গ্যারাজে গিয়েও এমন কারসাজি তারা করে। এটা বন্ধ করতে পুলিস গ্যারাজ মালিক ও সার্ভিসিং সেন্টারগুলিকে সতর্ক করছে।