পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত লোকসভা নির্বাচনের পরে তৃণমূলের হাতছাড়া হয়। পরবর্তীতে ১৪টি পঞ্চায়েতই তৃণমূল পুনরুদ্ধার করে। কিন্তু অন্দরান ফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতটি বিজেপি দখলে রেখেছে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতটি তৃণমূল এখন নিজেদের দখলে নিতে চেষ্টা চালাচ্ছে।
তৃণমূলের তুফানগঞ্জ বিধানসভার পর্যবেক্ষক মানিক দে বলেন, অন্দরান ফুলবাড়ি-১’র বটতলায় আমাদের কয়েকজন কর্মী সমর্থকের বাড়ি বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর করেছে। আমরা এই বিধানসভার ১৪টি পঞ্চায়েত পুনরুদ্ধার করতে পেরেছি। অন্দরান ফুলবাড়ি-১ পঞ্চায়েতের সদস্যরাও আমাদের দিকে আছেন। বিজেপি পরিকল্পিতভাবে গণ্ডগোল পাকাচ্ছে। আমাদের কর্মীদের মারধর করছে।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, অনেক জায়গায় তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী ভয়ভীতি দেখিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত আমাদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। কিন্তু অন্দরান ফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে তারা দলে টানতে পারেনি। সেই কারণে এলাকায় অশান্তি করছে। ওদের নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। সেসব কারণেই বাড়ি ভাঙচুর হচ্ছে। আমাদের কেউ এসবের সঙ্গে জড়িত নয়। রামপুরে আমাদের এককর্মীর বাড়ি ভাঙুচর করা হয়েছে।
কোচবিহারে গত লোকসভা ভোটে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। ওই জয়ের পরেই বহু গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। সম্প্রতি বেশকিছু গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এই বিধানসভায় তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের বালাভূত, নাককাটিগছ, অন্দরান ফুলবাড়ি-১ ও ধলপল-১ গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের রামপুর-১ ও ২, ফলিমারি-১, মহিষকুচি-১ ও ২, বড়কোদালি-১ ও ২, শালবাড়ি-১ ও ২, ভানুকুমারী-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। তৃণমূলের দাবি, তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত তারা পুনরুদ্ধার করেছে। তুফানঞ্জ-১ ব্লকের যে চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত তুফানগঞ্জ বিধানসভার মধ্যে পড়ে তার মধ্যে অন্দরান ফুলবাড়ি-১ পঞ্চায়েতটি এখনও বিজেপির দখলে রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে সেটি পুনরুদ্ধার করতেই এলাকায় মাঝেমধ্যে গণ্ডগোল হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্দরান ফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ন’টি আসনের মধ্যে বিজেপি একটিমাত্র আসনে জয়ী হয়েছিল। বাকিগুল পায় তৃণমূল। কিন্তু লোকসভা ভোটের পরবর্তী সময়ে কয়েকজন বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় পঞ্চায়েতটিও বিজেপি দখলে চলে যায়। হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতেই মরিয়া হয়ে উঠেছ শাসক দল।