বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শিলিগুড়ি পুরসভার এক আধিকারিক অবশ্য বলেন, গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য কিছু এলাকা চিহ্নিত করা আছে। টেন্ডার ডেকে সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলির দায়িত্ব বিভিন্ন সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। ওসব জায়গায় পরিকল্পনা মাফিক গাড়ি পার্কিং করা হচ্ছে। তবে বেআইনি পাকিং জোন গড়ার কোনও অভিযোগ মেলেনি।
শিলিগুড়ি পুলিসের এডিসিপি (ট্রাফিক) ডাম্বার সিংহ সোনার বলেন, বেআইনি পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কখনও যানবাহনের চালকদের বোঝানো হচ্ছে। বেআইনিভাবে যানবাহন পার্কিংয়ে অভিযুক্তদের কখনও জরিমানাও করা হচ্ছে। বেআইনি পার্কিং রুখতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শিলিগুড়ি শহরের ব্যস্ততম রাস্তাগুলির মধ্যে হিলকার্ট রোড অন্যতম। এটা শহরের লাইফ লাইন হিসেবেও পরিচিত। এই রাস্তায় প্রতিটি মোড়েই ট্রাফিক পোস্ট রয়েছে। দু’লেনের রাস্তার ফুটপাত ও মূল রাস্তার মাঝে কিছুটা জায়গা ফাঁকা রয়েছে। রাস্তার দু’পাশে সেই ফাঁকা জায়গায় যেমন-তেমন ভাবে দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে বাইক, টোটো ও প্রাইভেট নম্বরের গাড়ি। কখনও কখনও কিছু গাড়ি ও টোটো ফুটপাত ঘেঁষে রাস্তাতেই দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। সেগুলি সেখান থেকে বের করার সময় বা ঘোরানোর সময় এলাকাগুলিতে যানজটের সৃষ্টি হয়।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ আরএকটি রাস্তা বিধান রোডেও দেখা যায় একই ছবি। হাসমিকচক থেকে বিধান মার্কেটগামী রাস্তায় ঢুকেই মিলবে সিটি অটোর স্ট্যান্ড। সেখানে কিছু অটো এলোমেলো ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। সেখান থেকে কিছুটা এগলে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মূল গেটের দু’পাশে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রাইভেট গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়। এরপর গোষ্ঠ পাল মূর্তি পেরিয়ে পানিট্যাঙ্কি মোড় হয়ে দু’মাইলের দিকে গেলে আরও মারাত্মক ছবি নজরে পড়বে। সেই রাস্তায় নির্দিষ্ট পার্কিং এরিয়ায় যানবাহন রাখা হচ্ছে না। রাস্তাতেই বাইক সহ যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখায় যানবাহনের গতি থমকে যাচ্ছে। প্রায় সময়ই পানিট্যাঙ্কি মোড়ের কাছে বাইকের সঙ্গে রিকশ, ভ্যান কিংবা প্রাইভেট গাড়ির সঙ্গে বাইকের ধাক্কা লাগছে। একই অবস্থা শহরের সেভক রোড, এসএফ রোড, কাছারি রোড, কলেজপাড়া, বাঘাযতীন ময়দান সংলগ্ন রাস্তা সহ সমস্ত রাস্তাতেই বেআইনি কার পার্কিং নজরে পড়বে। নাগরিকরা এনিয়ে তিতিবিরক্ত। তাঁদের বক্তব্য, যত্রতত্র কার পার্কিংয়ের জেরে রাস্তাগুলি সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এরফলে নিরাপদে চলাচল করা যাচ্ছে না। এতে শহরের প্রতিটি রাস্তাতেই যানজটের মাত্রা বাড়ছে। ফলে অটো, টোটোয় পাঁচ মিনিটের রাস্তা অতিক্রম করতে লাগছে ২০ মিনিট। একইসঙ্গে রাস্তাগুলিতে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ছে।
যদিও যানবাহনের চালকদের একাংশ বলেন, শিলিগুড়ি রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর। এই শহরে দিনকে দিন যানবাহনের সংখ্যা বাড়লেও পরিকল্পিতভাবে পার্কিং জোন বা আন্ডার গ্রাউন্ড পার্কিং গড়ে ওঠেনি। বহুতলের বেসমেন্টেও নেই গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা। যার ফলে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।