কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম আরিফ শেখ ও আল আমিন শেখ। আরিফ ওই গাড়িটি চালাচ্ছিল ও আল আমিন ছিল সেই গাড়ির খালাসি। ধৃত দু’জনেরই বাড়ি প্রতিবেশী জেলা মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার ১৭ মাইল এলাকায়। ওই কয়লা বোঝাই ট্রাকটি রানিগঞ্জ থেকে আসছিল বলে জানা গিয়েছে। এমনভাবে ট্রাকে থাকা কয়লা ঢাকা দিয়ে রাখটা হয়েছিল যে বাইরে থেকে দেখে বোঝার কোনও উপায় ছিল না যে ভেতরে কি রয়েছে। তবে জাতীয় সড়কে পেট্রোলিং করার সময় সেই লরির গতিবিধি দেখে হরিরামপুর থানার পুলিসের সন্দেহ হয়। ট্রাকটি থামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে পুলিস কয়লা আটক করে। সেইসঙ্গে ট্রাকের চালক ও খালাসি কয়লার কোনও বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি। তাই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত চালক ও খালাসিকে পুলিস থানায় নিয়ে এসে ম্যারাথন জেরা করে। জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ এলাকার কোনও এক ইটভাটায় কয়লা নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ ছিল। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে পুলিস তাদের গঙ্গারামপুর আদালতে তোলে। বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। কয়লা পাচার হয়ে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে হরিরামপুর থানার পুলিস। এদিকে ওই ট্রাকটি থেকে উদ্ধার করা কয়লার পরিমাণ প্রায় ৪৫ হাজার কেজি বলে জানা গিয়েছে। সেই কয়লার আনুমানিক বাজার দর প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছে পুলিস।
হরিরামপুর থানার আইসি সঞ্জীব বিশ্বাস বলেন, শনিবার গভীর রাতে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কে পুলিস ভ্যান হাইওয়ে পেট্রোলিং চালাচ্ছিল। সেই সময় একটি ট্রাকের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় দায়িত্বে থাকা অফিসারের। তিনি গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। চালক প্রথমে জানায় যে গাড়িতে ধান রয়েছে। পুলিস তল্লাশি চালিয়ে কয়লা পায়। তারপর কয়লা পরিবহণ করার বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় আমরা ট্রাকটি থানায় নিয়ে এসেছি। চালক ও খালাসিকে জেরা করে আমরা বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। অবৈধভাবে রানিগঞ্জ থেকে কয়লা নিয়ে আসা হচ্ছিল। ওই কয়লা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, কারা এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে, তা জানতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।
লরি চালক আরিফ শেখ বলে, আমাদের রানিগঞ্জ থেকে কয়লা লোড করে কালিয়াগঞ্জ যেতে বলা হয়েছে। কোন ইটভাটায় যাবে, তা আমার জানা নেই। পরে সেকথা জানিয়ে দেবে বলেছিল। কয়লা খাদান থেকে লরি লোড করার পর আমাদের কোনও কাগজ দেওয়া হয়নি। বৃষ্টি হলে কয়লা ভিজে যাবে, তাই আমরা ভালো করে ঢেকে নিয়ে যাচ্ছিলাম। কয়লা বৈধ কি অবৈধ, সেব্যাপারে আমাদের কিছুই জানা নেই।
৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে অবাধে জেলায় ঢুকছে বেআইনি কয়লা। রানীগঞ্জ সহ অন্যান্য এলাকার একাধিক খাদান থেকে ওই কয়লা নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে জাতীয় সড়ক ধরে সেই কয়লা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।