গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক চাঁদমোহন সাহা বলেন, বাজারে কিনু আসছে মূলত পাঞ্জাব ও হিমাচলপ্রদশে থেকে। বেশি আসছে পাঞ্জাব থেকে। প্রায় প্রতিটি ফলেই স্টিকার সাঁটা থাকছে। বাজারে এর দাম কমলার থেকে তুলনামূলকভাবে কম। গন্ধ ও মিষ্টতাতে এটি দার্জিলিং বা ভুটানের কমলার সঙ্গে পারছে না। ব্যবসায়ীরা কমলা নয় বলেই ক্রেতাদের বিক্রি করছেন। দার্জিলিংয়ের কমলার জোগান আমাদের জেলায় সেভাবে নেই। তাই দার্জিলিং কমলার বাজার কিনু ধরে নিয়েছে।
কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজারের ফল ব্যবসায়ী উদ্ধব সাহা বলেন, আগে বাজারে এত কিনু আসত না। কিন্তু এবার প্রচুর কিনু এসেছে। ভুটানের কমলার জোগান কম। যা আসছে তা দিয়ে চাহিদা মিটছে না। দার্জিলিংয়ের কমলা তো আসছেই না। ফলে কিনুর চাহিদা বাড়ছে। অনেকেই কেজি দরে কিনে তা দিয়ে জুস করে খাচ্ছেন।
আরেক ফল ব্যবসায়ী রানা হোসেন বলেন, আমাদের দোকানে ভুটানের কমলা যেমন রয়েছে, তেমনই কিনুও পাওয়া যাচ্ছে। আমরা ক্রেতাদের বলেই বিক্রি করছি। ফলে ক্রেতারা তাদের পছন্দমতো জিনিসই পান। কিনুর দাম কমলার থেকে কিছুটা কম।
শীতের রোদ গায়ে মেখে কমলা খেতে কমবেশি সকলেরই ভালো লাগে। তাই শীত পড়তেই বাজারে ফলের দোকানগুলিতে কমলার সম্ভার চোখে পড়ছে। কমলালেবুর কথা বললে সাধারণত দার্জিলিং, ভুটান, নাগপুরের কমলাকেই সকলে বোঝেন। কিন্তু কমলার বাজারে ওসব পরিচিত জায়গার পাশাপাশি এখন পাঞ্জাব, হিমাচলপ্রদেশের কিনু বেশভালো বিক্রি হচ্ছে। ফল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কিনু এক ধরনের কমলার জাত। কিন্তু স্বাদ দার্জিলিং বা ভুটানের কমলার সঙ্গে পেরে ওঠে না। তবে এটির চামড়া মসৃণ, আকৃতি সুন্দর। যেহেতু বাইরের রাজ্য থেকে আমদানি হয়ে আসছে, তাই এর গায়ে কোম্পানির স্টিকার সাঁটা থাকছে। কোচবিহারের যেকোনও বাজারের ফলের দোকানে ৮, ১০ এবং ১২ টাকায় একটি করে কিনু পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ কিনুর সাইজ অনুসারে ৩২, ৪০ বা ৪৮ টাকায় চারটি কিনু মিলছে। কেজি প্রতি ৪০-৪৫ টাকা। অন্যদিকে, ভুটানের চারটি কমলা সাইজ অনুসারে দাম ৫০, ৬০ বা ৭০ টাকা। ফলে অনেকেই একটু সাশ্রয়ের আশায় কিনু কিনছেন। ব্যবসায়ীদের দাবি, ভুটানের কমলার গায়ে দাগ থাকে। সেটি বেশিদিন রাখা যায় না। কিন্তু কিনুর খোসা মসৃণ, এটি একসপ্তাহ অনায়াসেই রেখে খাওয়া যায়।