পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয়দের দাবি, শনিবার বিকেল থেকেই ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে রায়গঞ্জ স্টেশন চত্বরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। বারবার তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও প্রথম দিকে তিনি কথা বলতে পারছিলেনই না। কার্যত সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রায়গঞ্জ স্টেশন চত্বরে পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। অবশেষে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি এগিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দেন। পুলিস ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তখনও পর্যন্ত তিনি জ্ঞান সম্পূর্ণভাবে ফিরে পাননি। কেন, কোথা থেকে, কীভাবে তিনি এসেছেন, কোথায় ছিলেন, কোথায় যাচ্ছিলেন-এসব প্রশ্নের স্পষ্ট করে জবাবও জানাতে পারেননি। বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করার পর শুধুমাত্র তাঁর বাড়ি আসানসোল এলাকায় বলে জানাতে পেরেছেন তিনি। তবে পরিচয় খোলসা করে জানাতে পারেননি। ওই ব্যক্তি আরও জানিয়েছেন, কাজের খোঁজে রায়গঞ্জে এসেছিলেন তিনি। ট্রেনে আসার সময়ই তাঁর সর্বস্ব লুট হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
রায়গঞ্জ পুলিস জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, রায়গঞ্জ স্টেশনের পাশ থেকে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয়রা দাবি করেন যে রবিবার ওই ব্যক্তিকে দেখে প্রথমে মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে তারা। যদিও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে রবিবার ফের যখন কথা বলার চেষ্টা করা হয়, তখন তিনি সামান্য জবাব দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু দুয়েকটা প্রশ্নের জবাব দেওয়ার পরেই আবার জ্ঞান হারান তিনি। তখন স্থানীয়রা রায়গঞ্জ থানা এবং রেল পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ঘটনার খবর পেয়ে শেষমেষ এলাকায় পৌঁছে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিস।
ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জড়ানো কণ্ঠে শুধু বলেন যে তাঁর বাড়ি আসানসোলে। ট্রেনে চেপে রায়গঞ্জে কাজ করতে আসছিলেন তিনি। ট্রেনেই খাবার বা পানীয় সঙ্গে কিছু একটা মিশিয়ে তাকে খাইয়ে দেওয়া হয়। এরপর আর জ্ঞান ফেরেনি তাঁর। নামও সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারছেন না ওই ব্যক্তি।
উদ্ধারকারীদের মধ্যে বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, আমরা শনিবারই দেখতে পাই ওই ব্যক্তি স্টেশনের ঠিক উল্টোদিকে খালি জায়গায় মাথা গুঁজে পড়ে রয়েছেন। তাঁকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে হলেও পরবর্তীতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সেভাবে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। এর পর এদিন আবার যখন তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়, তখন তিনি জানান, খাবার বা পানীয়ের সঙ্গে কিছু একটা মিশিয়ে তাঁকে খাইয়ে দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে থাকা সমস্ত জিনিসপত্র লোপাট হয়ে গিয়েছে। আমরা স্থানীয় থানায় এবং রেল পুলিসকে খবর দিই।
ওই ব্যক্তি যে কোনও দুষ্কৃতী চক্রের খপ্পরে পড়েছেন, সেবিষয়টি বুঝতে পেরেই স্থানীয়রা খানিকটা চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তিকে সুস্থ করে তোলার। তাঁকে পানীয় জল দিয়ে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করা হয়। তবে কোনওভাবেই পুরোপুরি আয়ত্তে রাখা যাচ্ছিল না তাঁকে। স্থানীয়দের দাবি, ট্রেনে চলাচলের সময় অচেনা কোনও ব্যক্তির থেকে কিছু না খাওয়া নিয়ে সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হলেও এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি সতর্ক হয়নি মানুষ।