বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জলপাইগুড়ির এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক অরিন্দম রায় বলেন, ফাটাপুকুরের আন্ডারপাস দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আমার ছেলেকে যেতে হবে। জাতীয় সড়কে যেভাবে ধুলোর উড়ছে তাতে সর্দি-কাশি হতে পারে। জীবনের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় বসার আগে এমনিতেই ছেলেমেয়েরা নার্ভাস থাকে। তারউপরে ধুলো-বালি ও যানজটের কারণে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হতে হলে তাদের মানসিক চাপ আরও বাড়বে। তাই যানজট রোখা ও রাস্তায় যাতে জল দিয়ে ধুলো ওড়া বন্ধ করা যায় সেনিয়ে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
জলপাইগুড়ি জেলা মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালন কমিটির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক পুষ্পা ডোলমা বলেন, পরীক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত গাড়ি সহ সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিবহণ দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। জাতীয় সড়কে ধুলো এবং যানজটের সমস্যা নিয়ে আমরা সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রজেক্ট ডিরেক্টর (টেকনিক্যাল) প্রদ্যুৎ দাশগুপ্ত বলেন, মাধ্যমিকের সময় যাতে পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় না পড়ে তারজন্য আমরা রাস্তা তৈরির কাজে সংশ্লিষ্ট অংশে নিযুক্ত ঠিকাদারদের জাতীয় সড়কে বেশি করে জল দিতে নির্দেশ দিয়েছি। যানজটের বিষয়টিও আমাদের মাথায় আছে। রাস্তায় যানজট রুখতে আমরা পুলিস প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করব।
৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন অংশ সম্প্রসারণের কাজ চলছে। রাস্তার দু’ধারে তাই মাটি খুঁড়ে বালি ফেলা হয়েছে। কয়েক জায়গায় মাটি ফেলে রাস্তা সমান্তরাল করা হচ্ছে। কিছু জায়গায় গর্ত খোঁড়া হয়েছে। কিছু কিছু অংশে আন্ডারপাস, ডাইভারশন করা হয়েছে। এসব কারণে জাতীয় সড়কের কয়েকটি অংশে যানবহনের গতি থমকে যাচ্ছে। শীত শেষে গরম পড়তেই অল্পস্বল্প হাওয়া শুরু হয়েছে। হাওয়াতে ধুলো উড়ার পাশাপাশি ভারী যানবাহন চললেই ধুলো উড়ছে।
জাতীয় সড়কের মোহিতনগর, তিস্তা সেতু, ফাটাপুকুর এলাকায় আন্ডারপাস তৈরির জন্য বেশি ধুলো উড়ছে। ওই এলাকা দিয়ে অনেক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রাস্তার ধারের স্কুলগুলিতে যাবে। পরীক্ষা দিতে যাওয়া এবং পরীক্ষা শেষে ফেরার পথে তাদের একই অবস্থার মুখোমুখি হতে হবে। তাই অভিভাবকরা ধুলো রুখতে জল দেওয়ার দাবি তুলেছেন।