কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
হাসপাতালের বেডে শুয়ে আহত তৃণমূল কর্মী বিপ্লব কর্মকার বলেন, আমরা কয়েকজন বটতলা বাজারে চা খেতে যাই। সেসময় বিজেপির লোকজন আমাদের উপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়, আমাদের বেধড়ক পেটায়। আমার মাথা ফেটে গিয়েছে। আমরা তৃণমূল করি বলেই ওরা আমাদের মাটিতে ফেলে মারতে থাকে।
স্থানীয় বিজেপি নেতা অন্দরান ফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ধরণীকান্ত বর্মন বলেন, তৃণমূলের উপর হামলার অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। এদিন সকালে বাইক বাহিনী আমার বাড়িতে এসে আমাকে প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন চাপ দেয়। ইস্তফা না দিলে আমাকে মেরে ফেলারও তারা হুমকি দিয়ে যায়। পরে ওই দলটি বাজারে থাকা আমাদের দলের কর্মীদের দল ছাড়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। আমাদের কর্মীরা চিৎকার চেঁচামেচি করলে আশেপাশের লোকজন আসে। সামান্য হাতাহাতি হলেও কাউকে জখম করা হয়নি।
তুফানগঞ্জের বিধায়ক তৃণমূলের ফজলে করিম মিঁয়া বলেন, প্রধানের বাড়িতে গিয়ে হুমকির দেওয়ার অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। বিজেপির লোকজন বাজারে চা খেতে আসা আমাদের কর্মীদের উপরেই হামলা করেছে। আমাদের তিনজন হাসপাতালে ভর্তি। বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। ওরা সন্ত্রাস শুরু করেছে। আমরা তা হতে দেব না। তুফানগঞ্জ থানার পুলিস জানিয়েছে, গণ্ডগোল হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কোনও অভিযোগ হয়নি।
তৃণমূলের অভিযোগ, তুফানগঞ্জের ব্লকের অন্দরান ফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বটতলা বাজারে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী এদিন চা খেতে যায়। সেসময় তাঁদের উপর অকারণে আচমকাই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। বাঁশ ও লাঠি দিয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। ওই মারে তিনজন তৃণমূলের কর্মী গুরুতরভাবে জখম হন। তাদের তুফানগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মারধরে এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফেটে গিয়েছে। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির দাবি, অন্দরান ফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত তাদের দখলে রয়েছে। এদিন ৩৫-৪০টি মোটর বাইকে করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্রধানের বাড়িতে যায়। তারা প্রধানকে পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাপ দেয়। এমনকী তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। পরে ওই বাইক বাহিনী বটতলা বাজারে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের দল ছাড়ার জন্য হুমকি দেয়। সেসময় স্থানীয়রা লোকজন আসলে সামান্য গণ্ডগোল হয়।