পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, সুখানিতে কলেজ প্রতিষ্ঠার পিছনে দীর্ঘ লড়াই করেছেন তিনি এবং বিদায়ী পরিচালন কমিটির সভাপতি। তাই বিদায়ী সভাপতির পরিবর্তে অন্য কাউকে তাঁরা কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি হিসেবে মানবেন না। শিক্ষামন্ত্রীকে বিষয়টি ইতিমধ্যেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।
যদিও তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি কিষাণ কল্যাণী দাবি করেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আমরা রাজনীতির বাইরে রাখতে চাই। তাই বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদেরই কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি করার জন্য শিক্ষাদপ্তরে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। এরবেশি কিছু আমরা এনিয়ে বলব না।
জলপাইগুড়ি সদর মহকুমা শাসক রঞ্জনকুমার দাস বলেন, বিগত পরিচালন কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রশাসক হিসেবে আমি এখন কলেজ পরিচালনা করছি।
বিধায়কের দাবি, বিগত পরিচালন কমিটির সভাপতি সহ তাঁরা দীর্ঘ আন্দোলন করার পরেই সুখানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রাজগঞ্জ কলেজ স্থাপিত হয়েছে। বিদায়ী সভাপতি স্বচ্ছতার সঙ্গেই কলেজ পরিচালনা করেছেন। তাঁকে বাদ দিয়ে কেউ অন্য একজনের নাম কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি হিসেবে মনোনীত করবে সেটা হতে পারে না। জেলা সভাপতি এককভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে সেটা মানা হবে না বলেই বিধায়ক হুমকি দিয়েছেন। তাঁর দাবি, বিষয়টি ইতিমধ্যেই তিনি শিক্ষামন্ত্রীর নজরে এনেছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতির পাল্টা দাবি,শিক্ষাক্ষেত্রকে তিনি রাজনীতিমুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাই কলেজ পরিচালন কমিটি থেকে রাজনৈতিক নেতাদের বাদ দিয়ে শিক্ষাবিদদেরই রাখার জন্য ওপর মহলে আর্জি জানিয়েছেন। আর সেটা করতে গিয়ে যোগ্য ব্যক্তির নামই তিনি শিক্ষাদপ্তরে প্রস্তাব আকারে জমা দিয়েছেন। দুই নেতার টানাপোড়েনে সভাপতি পদ ফাঁকা পড়ে আছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় উচ্চ শিক্ষাদপ্তর কলেজে প্রশাসক বসিয়ে দিয়েছে। যদিও প্রশাসকের দাবি, শীঘ্রই ওপর মহল এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
কিষাণ কল্যাণী জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অনেক নেতার সঙ্গেই তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছে। রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ে তার মধ্যে অন্যমত। একাধিক বিষয় নিয়ে ওই দুই নেতার মধ্যে মতান্তর রয়ছে। এবার কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি বাছাইকে ঘিরে দুই নেতার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য আসায় দলে গুঞ্জন চলছে।
দল সূত্রে খবর, খগেশ্বর রায়ের এলাকা চাউলহাটির এক সংখ্যালঘু নেতাকে কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি হিসেবে সুপারিশ করেছেন জেলা সভাপতি। কিষাণ কল্যাণীর সেই সুপারিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে। জেলা সভাপতির সেই পোস্টের পরেই বিধায়ক জেলা সভাপতির সুপারিশ করা নাম বাদ দিতে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে দরবার করেন। যদিও এনিয়ে বিগত পরিচালন কমিটির সভাপতি লক্ষ্যমোহন রায় বলেন, ২০১১ সালের আগস্ট মাস থেকে আমি কলেজের সভাপতি ছিলাম। পরিচালন কমিটির মেয়াদ শেষে প্রশাসক বসেছে। যদি আমাকে ফের দায়িত্ব দেওয়া হয় আমি পালন করব। প্রসঙ্গত, গতমাসে কলেজের পরিচালন কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়।