পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এপ্রসঙ্গে নাট্যকার ও নির্দেশক জয়ন্ত বিশ্বাস বলেন, ‘থেরী’ শব্দের অর্থ বৌদ্ধ সন্ন্যাসিনী। তাঁরা টুকরো টুকরো ঘটনা নিয়ে গাথা লিখতেন। সেই থেকেই এর নাম হয়েছে ‘থেরীগাথা’। ইতিহাসে রয়েছে, আম্রপালি রাজনর্তকী ছিলেন। তিনি ছিলেন বৈশালীর বাসিন্দা ও অনাথ। এক উদ্যানপালক তাঁকে লালন পালন করেন। আম্রপালী যখন ধীরে ধীরে বড় হতে থাকেন, তখন তাঁর সৌন্দর্যের খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর রূপে মুগ্ধ হয়ে গ্রামের সকল মাতব্বর তাঁকে বিয়ে করতে চায়। শেষমেষ রাজার আদেশে তাঁকে রাজনর্তকী করা হয়। শেষ জীবনে আম্রপালী সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। তাঁরই লেখা এই থেরীগাথা।
এই ঐতিহাসিক নাটককে কেন বেছে নেওয়া হল? এই নাটকের প্রাসঙ্গিকতা বর্তমানে কতটা রয়েছে? এই প্রশ্নগুলির জবাবে নাট্যকার বলেন, আমরা নাটক শুরু করার আগে গবেষণা করে দেখেছি যে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে সেই সময় যা যা ঘটনা ঘটেছিল, সেগুলির সঙ্গে বর্তমান ভারতবর্ষের অনেক মিল। সেই সময়কার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে শুরু করে রাজনীতি ও সমাজনীতি আমাদের কাছে বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতেও যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়েছে। ধর্মের বিষয়টাও অনেকটা একইরকম ছিল। সেই সময় বৌদ্ধধর্ম ধীরে ধীরে ভারতে প্রবেশ করতে শুরু করে এবং আস্তে আস্তে তা বিস্তার লাভ করতে থাকে। এর ফলে হিন্দু ধর্মের প্রধানদের গাত্রদাহ হয় এবং কি করে ধর্ম, রাজনীতি সাধারণ মানুষ ও অর্থনীতি এই সমস্ত কিছু একসঙ্গে মিলেমিশে সাধারণ মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলেছিল, আমরা সেই অবস্থাটা তুলে ধরেছি। সেই সময়টা বর্তমান সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে যাচ্ছে বলে আমরা আমাদের নাটকের মধ্য দিয়ে সেই সময়ের অবস্থাটা তুলে ধরেছি। আমাদের এই নাট্যদলের বয়স বেশি নয়। মাত্র তিন বছর। আমরা এর আগে অনেক একাঙ্ক নাটক করেছি। কিন্তু আমাদের প্রযোজনায় এই প্রথম পূর্ণাঙ্গ নাটক মঞ্চস্থ হলো। এটা আমাদের দ্বিতীয় অভিনয়। আমাদের দলে বর্তমানে তারুণ্যের প্রভাব রয়েছে। মালদহে যুব সমাজের নাটকের প্রতি আগ্রহ সম্প্রতি বেড়েছে। তাই বেশকিছু স্থানীয় যুবক-যুবতী আমাদের এই নাট্যদলে শামিল হয়েছেন।