বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
চাঁচল মহকুমা সদরের এই দমকল কেন্দ্রের কাজের পরিধি বিশাল। তাই হঠাৎ কোন প্রত্যন্ত অঞ্চলে আগুন লাগলে দমকল বাহিনীর পক্ষে যথা সময়ে পৌঁছতে সমস্যা হয়। চাঁচল সদর ছয়টি ব্লক নিয়ে গঠিত। তার মধ্যে চাঁচল-১ ও ২ ব্লক এবং রতুয়া-১ ও ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা এই দমকল কেন্দ্রের আওতায় রয়েছে। চাঁচল-১ ও ২ ব্লক কাছাকাছি হলেও রতুয়া-১ ও ২ ব্লকের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দূরত্ব অনেক বেশি। চাঁচল সদর থেকে রতুয়া সদরের দূরত্ব ২৬ কিলোমিটার। প্রত্যন্ত অঞ্চলের দূরত্ব এর থেকে দেড় গুণ বা দ্বিগুণ। রতুয়া-২ ব্লক সদর পুখুরিয়ার দূরত্ব চাঁচল সদর থেকে ৪১ কিলোমিটার। ফলে এসব এলাকায় দমকল কর্মীদের পৌঁছতে যথেষ্ট সময় লাগে। পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে কাজের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যা হয় বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি চাঁচল মহকুমা সদরের অগ্নি নির্বাপণ কেন্দ্রে ভবন সংস্কার করারও প্রয়োজন রয়েছে। ভবনের অনেক স্থানের পলাস্তরা খুলে পড়েছে। অগ্নি নির্বাপণ কেন্দ্র চালু হওয়ার পর ভবনের কোনও সংস্কার করা হয়নি। চাঁচল মহকুমা অগ্নি নির্বাপণ কেন্দ্রের সূচনা হয় ২০০২ সালের ২৪ আগস্ট। এই দীর্ঘ আঠারো বছর ধরে ভবন জীর্ণ হয়েছে। সংস্কারের ভীষণ প্রয়োজন রয়েছে। তবে ভবন সংস্কারের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলে দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
শুরুর দিকে যানবাহনের সমস্যা থাকলেও বর্তমানে পর্যাপ্ত গাড়ি থাকায় এনিয়ে আর কোনও সমস্যা নেই। যন্ত্রপাতিরও আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয় বলে দপ্তরের কর্মীরা জানিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে চাঁচল অগ্নি নির্বাপণ কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ রতন কুমার সিংহ বলেন, আগের তুলনায় আমাদের কেন্দ্রের অনেক উন্নতি হয়েছে। পর্যাপ্ত যানবাহন ও আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে উপকরণগত কোনও সমস্যা নেই। কিছু শূন্যপদ রয়েছে। তবে শীঘ্রই শূন্য পদে কর্মী নিয়োগ হবে। ভবন সংস্কারের কাজও শুরু হতে চলেছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।