কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজে রাস্তার উপরে লরি দাঁড়িয়ে থাকার কারণে অমৃতখণ্ডের দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ। শনিবার রাতে বাদামাইল এলাকার জোরকুড়িতে ঘটনাটি ঘটে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম পাপাই লাহা (২৫)। বাড়ি বাদামাইল এলাকার পণ্ডিতপুরে। মৃত যুবকের দাদা রবি লাহা বলেন, রাস্তা ঠিক করার নাম করে প্রতিদিনই রাস্তার উপরে বড় বড় ডাম্পারগুলো রেখে মাল খালাস করা হয়। শনিবার রাতে আমার ভাই হাটে দোকানদারি করে বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিল। ঘন কুয়াশা থাকার কারণে কিছু বোঝা যাচ্ছিল না। সেসময় একটি ডাম্পার এসে তাঁকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে যারা দাঁড়িয়েছিল, তারা গাড়ি সরাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু আমার ভাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের সময় ছিল না। এরপর পুলিসের পেট্রলিং ভ্যান এসে আমার ভাইকে উদ্ধার করে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
জোরকুড়ি এলাকায় জাতীয় সড়কের প্ল্যান্টের সামনে মাঝেমধ্যেই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটেই থাকে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এনিয়ে এলাকাবাসীরা ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পাশাপাশি আন্দোলনেও নামতে চলেছেন। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জগন্নাথ সামন্ত বলেন, এই ঘটনাটি আমার জানা নেই। ডাম্পার যদি রাস্তার উপরে উঠে দাঁড়িয়ে থাকে, তবে নিশ্চয়ই বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে বালুরঘাট থানার সেওই এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম সুমন দাস(৩৬)। বাড়ি বালুরঘাট থানার ঠাকুরপুরা এলাকায়। মৃত সুমন দাসের শাশুড়ি সবিতা দেবনাথ বলেন, বাইক নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় গবাদি পশুর সঙ্গে সুমনবাবুর বাইকের ধাক্কা লাগে। গুরুতর জখম হয় সে। পরে তার মৃত্যু হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দুটি ঘটনাতেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।