কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এ ব্যাপারে মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, গত কয়েকমাসে আমরা কিছু কিছু জায়গায় ট্রাফিক ব্যবস্থার খোলনলচে পাল্টে ফেলেছি। আগামী দিনে অন্যান্য মোড়েও সিগন্যালিং ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে। অর্থের অভাবে ওই প্রকল্পের গতি কিছুটা শ্লথ হচ্ছে। আগামী দিনে সমস্যার সমাধান হবে বলে আমরা আশা করছি।
প্রসঙ্গত, মাস তিনেক আগে মালদহ জেলা সফরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদহ কলেজ অডিটোরিয়ামের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচি রূপায়ণ নিয়ে জেলা পুলিসকে একহাত নেন। ট্রাফিক পুলিসের কঠোর সমালোচনা শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা পুলিসের কর্তারা ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হন। এ ব্যাপারে খোদ পুলিস সুপার ময়দানে নামেন। তবে এখনও সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি। মাঝেমধ্যেই ইংলিশবাজার শহর এবং আশপাশের এলাকায় পথ দুর্ঘটনার বলি হচ্ছেন বাসিন্দারা। দ্রুতগতির বাইক আরোহীদের লাগাম টানা যাচ্ছে না। অন্যান্য যানবাহনের গতিও বেশিরভাগ সময় মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। গতি পরিমাপের কোনও ব্যবস্থা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি দুর্ঘটনায় সংশ্লিষ্ট গাড়ির গতি বেশি ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। যাত্রী তোলার জন্য জেলার বিভিন্ন রুটে বাসের রেষারেষির জেরেও দুর্ঘটনা ঘটছে। নালাগোলা রাজ্য সড়কে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়। বিষয়টি নিয়ে পুলিস এবং প্রশাসনকে আরও কড়া হতে হবে বলে জেলাবাসী মনে করেন।
জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, আমাদের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ নেই। সরকারও বর্তমানে ট্রাফিক ব্যবস্থার পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য টাকা বরাদ্দ করে না। ফলে বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে তা তৈরি করা হচ্ছে। সম্প্রতি ৪২০ মোড়ের সিগন্যালিং ব্যবস্থা মেরামতের জন্য বিজ্ঞাপন সংস্থার সহযোগিতা নেওয়া হয়। ওই জাতীয় সংস্থাগুলিও নিজেদের সুবিধার্থে গুরুত্বপূর্ণ এবং জনবহুল এলাকার ট্রাফিক সিস্টেমে বিনিয়োগ করছে। ফলে শহরের প্রত্যন্ত এলাকা এবং গ্রামাঞ্চলে সিগন্যালিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে শহরের ক্ষেত্রে পুরসভাগুলি এগিয়ে এলে সুবিধা হয়। মানুষের সুবিধার্থে তারা উদ্যোগী হয়ে পরিকাঠামো বৃদ্ধি করলে সকলে উপকৃত হবেন।
ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান নীহরারঞ্জন ঘোষ বলেন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ বা সিগন্যালিংয়ের পরিকাঠামো গড়ার জন্য আমরা কোনও অর্থ পাই না। ফলে এ ব্যাপারে বিনিয়োগের কোনও উপায় নেই। পুরসভার ৬০-৭০ জন কর্মী বর্তমানে শহরে যান নিয়ন্ত্রণের কাজ করেন। তাঁদের সাম্মানিক আমরা প্রদান করি। সিভিক ভলান্টিয়ারদের মতোই ওইসব কর্মীরা ট্রাফিক পুলিসকে সাহায্য করেন।