গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক সুমন্ত সহায় বলেন, লিখিতভাবে ওই অভিযোগ পাইনি। তা হলেও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ব্যাপারে এআরটিও এবং ম্যাক্সিক্যাব সরবরাহের বরাত পাওয়া সংস্থার সঙ্গেও কথা বলব।
এআরটিও নবীন অধিকারী অবশ্য বলেন, সাত ও আট আসন বিশিষ্ট দু’ধরনের বিএস-৪ মডেলের গাড়ি চালকরা কিনতে পারেন। তবে সিট পরিবর্তন করে কোনও ম্যাক্সিক্যাব বিক্রি করা সম্ভব নয়। তা হলেও ওই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শিলিগুড়ি শহরের রাস্তা থেকে প্রশাসন মেয়াদ উত্তীর্ণ অটোর পরিবর্তে বিএস-৪ মডেলের ম্যাক্সিক্যাব রাস্তায় নামাচ্ছে। অটোচালকরা বলেন, বিএস-৪ মডেলের সাত আসন বিশিষ্ট ম্যাক্সিক্যাব রাস্তায় নামানোর কথা। যারমধ্যে চালকের আসন একটি, বাকি ছ’টি আসন যাত্রীদের জন্য। কিন্তু বর্তমানে এই গাড়ি নেই বলে জানাচ্ছে বরাত পাওয়া সংস্থা। পরিবর্তে তারা আট আসনের ম্যাক্সিক্যাব নেওয়ার জন্য চালকদের চাপ দিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট গাড়িতে একটি আসন চালক এবং বাকি সাতটি আসন যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ। অভিযোগ, এরমধ্যে একটি আসন তুলে দিয়ে সেটিকে সাত আসন বিশিষ্ট করে অটোচালকদের কাছে বিক্রি করছে বরাত পাওয়া সংস্থা। তারা এজন্য অটোচালকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৪০-৫০ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই অতিরিক্ত টাকা জোগাড় করতে গিয়ে অটোচালকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যারফলে অনেক দরিদ্র অটোচালক এখনও সিটি অটোর পরিবর্তে ম্যাক্সিক্যাব রাস্তায় নামাতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শহরের রাস্তা থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ অটো তুলে দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছিল প্রশাসন। তা এখনও কার্যকর হয়নি। এখনও মেয়াদ উত্তীর্ণ বহু অটো রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, শহরে সিটি অটো রয়েছে প্রায় ১২০০। ইতিমধ্যে ২০০’র কিছু বেশি অটো পাল্টে বিএস-৪ মডেলের ম্যাক্সিক্যাব রাস্তায় নামানো হয়েছে।