বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, রাতে বর্জ্যে আগুন লাগার পর গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। দুর্গন্ধে টেকা যাচ্ছিল না। যেহেতু সীমানা পাঁচিল নেই, তাই সেখান থেকে আগুন আশেপাশের ছড়িয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। সুটুঙ্গা ও মানসাই নদীর চরে পুরসভা ডাম্পিং গ্রাউন্ডটি অবৈজ্ঞানিকভাবে করেছে। পুরসভাকে একাধিকবার এলাকাটি ঘিরে দেওয়ার দাবি জানানো হলেও এনিয়ে পুর কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
ডাম্পিংগ্রাউন্ড সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা খোকা নমদাস বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় কে বা কারা ডাম্পিংগ্রাউন্ডের শুকনো বর্জ্যে আগুন ধরিয়ে দেয়। গোটা এলাকা মুহূর্তের মধ্যে ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। মাস ছয়েক আগেও আগুন লেগেছিল। ওই আগুন আশেপাশে থাকা বাড়িতে ছড়িয়ে যেতে পারত। ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে পুরসভা উদাসীন। আমরা সীমানা পাঁচিল দেওয়ার আর্জি একাধিকবার পুরসভায় জানিয়েছি। কিন্তু পুরসভা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
মাথাভাঙা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের চন্দন দাস বলেন, আমরা ডাম্পিং গ্রাউন্ডে সীমানা পাঁচিল দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। কিন্তু সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের প্রকল্প গড়ার কারণে সেই কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। আমরা অন্যত্র পাঁচবিঘা জমি নিয়েছি। সেখানে বিজ্ঞানসম্মতভাবে ডাম্পিং গ্রাউন্ড বানাব। রাতের অন্ধকারে যাতে এমন কাজ দ্বিতীয়বার কেউ না করে, সেটা বাসিন্দাদের দেখতে হবে, আমরা সজাগ আছি।
শহরের একটি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সদস্য বরুণ সাহা বলেন, নদীর ধারে একেবারে অবৈজ্ঞানিক উপায়ে শহরের বর্জ্য রাখা হচ্ছে। এতে ওসব নদীর জলে মিশছে। নদীর জল দূষিত হচ্ছে। এনিয়ে আমরা অনেকবার পুরসভাকে বলেছি। শুকনো বর্জ্যে আগুন লাগলে আশেপাশে তা ছড়িয়ে বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এ ব্যাপারে পুরসভার সচেতন হওয়া উচিত।
মাস ছয়েক আগে মাথাভাঙা পুরসভার এই ডাম্পিংগ্রাউন্ডে দু’বার আগুন লেগেছিল। পুরসভা তারপরও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, পুরসভার গাড়ি বর্জ্য নিয়ে আসার পর দূরবর্তী স্থানে না ফেলে বাঁধ সাংলগ্ন এলাকায় দিনের পর দিন ফেলছে। এতে পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা দুর্গন্ধে চরম বিপাকে পড়ছেন। এরউপর ওসব শুকিয়ে গেলে কে বা কারা তাতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। ডাম্পিং গ্রাউন্ডে সীমানা পাঁচিল তুলে দিলে সমস্যা অনেকটাই ঠেকানো যাবে, দাবি বাসিন্দাদের।