পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, সরকারি নিয়ম মেনেই বদলি করা হয়েছে। তবে বেশকিছু দিন ধরে নির্মাণ সহায়কদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ উঠছিল। সেই কারণে দ্রুত এই বদলি করা হয়েছে। কাজের সুবিধার্থে কোনও প্রকার অনিয়ম প্রশাসন বরদাস্ত করবে না। জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূল কংগ্রেসের লিপিকা রায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রাম পঞ্চায়েতে থাকার কারণে অনেকে দুর্নীতির সাথে যুক্ত হয়ে পড়েছেন। আমাদের কাছে এই অভিযোগ এসেছিল। জেলাশাসক যে নির্দেশিকা জারি করেছেন, আশা করছি অনিয়ম কমবে। মাঝে-মধ্যে এই প্রকার বদলি করা দরকার।
জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দেবাশিস মজুমদার বলেন, প্রশাসন খুবই ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা চাইছিলাম এমনটা হোক। বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন বলেন, নির্মাণ সহায়কদের একাংশ ঠিকাদার ও শাসক দলের নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে লাগাতার পঞ্চায়েতে দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন যা করেছে খুবই ভালো উদ্যোগ। তবে দুর্নীতি বন্ধ করতে প্রশাসনকে আরও সজাগ হতে হবে।
পঞ্চায়েতের সরকারি কর্মীদের পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে একাধিক দুর্নীতি যুক্ত থাকার অভিযোগ মাঝে মধ্যে প্রকাশ্যে আসে । ১০০ দিন, আবাস যোজনা সহ একাধিক সরকারি প্রকল্পের কর্মীদের নামে একাধিক অভিযোগ প্রশাসনের কাছে জমা পড়ে। পাশাপাশি লক্ষ লক্ষ টাকার কাজ টাকার বিনিময়ে নিজেদের পছন্দের ঠিাকাদারকে পাইয়ে দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠে আসে। অন্যদিকে কাজে অনিয়ম হয়েছে কিনা তা যাচাই না করার জন্য ঠিকাদার সংস্থার কাছ থেকে কাজের ২ শতাংশ টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নির্মাণ সহায়কদের নামে অভিযোগ আসে। তপন ব্লকের রামপাড়া চেঁচড়া ও হরশুরা গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজ না করেই টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। এতেও নির্মাণ সহায়কদের নাম জড়ায়। এমনকী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। যদিও এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয়নি। প্রশাসনের দাবি, নির্মাণ সহায়কদের একাংশ একই পঞ্চায়েতে দীর্ঘদিন থাকার কারণে একনায়তন্ত্র তৈরি করে ফেলেছিল। স্বাভাবিকভাবে তা ভাঙতে জেলাশাসক এমন উদ্যোগ নিয়েছেন।