বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় আরএসপি নেতা তথা গাজোল ব্লক লোকাল কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক মহবুল হক বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এলাকায় প্রাথমিক চিকিৎসার পরিকাঠামো গড়ে উঠলে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। তার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো নেই। আপৎকালীন সময়ে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা মেলা দুষ্কর। এনিয়ে প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে হবে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের ফারুক হোসেন বলেন, দুঃখজনক ঘটনা। এলাকার দুই শিশুর অজানা কারণে মৃত্যু হয়েছে। দু’জন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কীভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটল তা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা দেখছেন। এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা বলেন, বিষ ফল খেয়ে শিশুরা অসুস্থ হলে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা কম। অতীতের অভিজ্ঞতায় অনেকে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, যদিও মৃত্যু সে অর্থে হয়নি ।
ফিরোজ আলি এবং শফিকুল ইসলাম দুই পরিবারের দুই শিশুকে সমাহিত করে এদিন বাকরুদ্ধ হয়ে বসেছিলেন সফিকুলের মা নাসিমা বিবি। কোলের শিশু হারানোর বেদনায় বসন্তে শীত যেন জাঁকিয়ে ধরেছে। কানে কম শোনা ওই মা ইশারায় বর্ণনা দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। তাঁর পরিবারের অন্য দুই শিশু মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। কৃষক পরিবারের তিন শিশুর মধ্যে একজনের মৃত্যু হওয়ায় বাকিদের জন্য উদ্বেগে রয়েছে ওই পরিবার। একই শোকের আবহ রাশিদা বিবির পরিবারে। রাশিদা বিবির ছেলে ফিরোজের বিয়োগ ব্যথায় বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন। বাড়ির বারান্দায় বসে ফিরোজের বাবা আব্দুল খাবির বলেন, ছেলে বাড়িতে এসে কিছু বলেনি। ছোট তো তাই ঘাবড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। আমরা চেষ্টা করেছি তবুও বাঁচাতে পারিনি।