পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বহুদিন ধরে চেষ্টা চালিয়েও রাজ্যের ‘বাম দুর্গ’ শিলিগুড়ি শহরকে কব্জা করতে পারছে না তৃণমূল। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের হাওয়ায় ঘাসফুল শিবির এই শহরের মাটি দখল করলেও তাদের সাম্রাজ্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ২০১৫ সালেই এই মাটিতে মাথা তুলে দাঁড়ায় কাস্তে-হাতুড়ি বাহিনী। এবার এখানকার মাটি থেকে লালপার্টিকে সাফ করতে ঘাসফুল বাহিনী ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। নাগরিকদের সমস্যা নিয়ে এবং এনআরসি, এনপিআর ও সিএএর বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন করে তারা নিজেদের পালে কিছুটা হাওয়া তুলেছে। এবার সেই হাওয়াকে ভোটবাক্সে কার্যকরী করতে দলের তরুণ ব্রিগেডকে ময়দানে নামাতে চলেছে তৃণমূল।
পর্যটনমন্ত্রী অবশ্য বলেন, এবার শহরে জনসংযোগ আরও নিবিড় করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শহরের ৪৭টি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি যাবেন দলের যুবক-যুবতীরা। একগুচ্ছ প্রশ্ন নিয়ে তাঁরা নাগরিকদের কাছে যাবেন। সেই সব প্রশ্নের উত্তর লিপিবদ্ধ করে আমাদের কাছে দেবেন। পাশাপাশি তাঁরা সরকারি বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নাগরিকদের অভাব-অভিযোগ লিপিবদ্ধ করবেন। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁরা অভাব-অভিযোগগুলি নিষ্পত্তি করবেন। বুথভিত্তিক এই অভিযান চলবে। এজন্য প্রায় ৭০০ জন যুবক-যুবতীকে বাছাই করা হয়েছে। আগামী মাস থেকেই তাঁরা এই অভিযানে নামবেন।
মন্ত্রীর এমন উদ্যোগ নিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, অতীতের বিভিন্ন নির্বাচনের আগে তৃণমূলের মিটিং, মিছিল, সভা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে প্রচুর লোক সমাগম হতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু ভোটের ফলাফল হতাশাজনক হয়েছে। এবার পুরভোটে যাতে সেই ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেজন্যই ঘাসফুল শিবির এমন উদ্যোগ নিয়েছে।
শিলিগুড়ি পুরভোটের নির্বাচনী ইস্তাহার তৈরির কাজও শীঘ্রই শুরু হবে বলে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে জানান পর্যটনমন্ত্রী তথা তৃণমূলের উত্তরবঙ্গ কোর কমিটির চেয়ারম্যান। মূলত নাগরিক পরিষেবার মান, সমস্যা, চাহিদা প্রভৃতি বিষয় খতিয়ে দেখেছে সমীক্ষক দল। ইতিমধ্যে সমীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। নাগরিক পরিষেবার মান বাড়ানোর ব্যাপারে বেশকিছু পরামর্শ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট সামনে রেখেই শিলিগুড়ি শহরে পাঁচটি বরোতে পাঁচটি নির্বাচনী ইস্তাহার তৈরি করা হবে। এজন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল তৈরি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা শীঘ্রই এই কাজে হাত দেবেন।
একইসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে শিলিগুড়ি শহরের ৩১, ৩৫, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে এবং ডাবগ্রাম-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পাঁচটি ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি পালন করেছি। এবার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ষষ্ঠতম দিদিকে বলো কর্মসূচি পালন করা হবে। আজ, রবিবার ওই কর্মসূচির শুরু করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। এরপর ৩২, ৩৮ এবং ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি পালন করা হবে।