পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাসিন্দাদের অভিযোগ, খেতের উপর দিয়ে কিছু পাচারকারী গোরু নিয়ে যায়। এতে সব্জি নষ্ট হয়। প্রতিবাদ করলেই পাচারকারীরা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তাই কেউ পাচারকারীদের সঙ্গে বচসা করতে সাধারণতঃ যান না। কিন্তু দিনের পর দিন সব্জিখেত নষ্ট করে গোরু নিয়ে যাওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের পারদ ক্রমশই চড়ছে।
দার্জিলিংয়ের পুলিস সুপার অমরনাথ কে বলেন, কৃষক খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা কিছু তথ্য হাতে পেয়েছি। আশা করি, অভিযুক্ত দ্রুত ধরা পড়বে। তবে গোরু পাচারকারী সন্দেহে আমরা একজনকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ সম্প্রতি গ্রেপ্তার করেছি। কৃষককে গুলি করার ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়েছে। আমরা বাসিন্দাদের অভিযোগ পেয়েছি। তাই নজরদারির জন্য একটি বিশেষ টিম করা হয়েছে। ওই টিমে সিভিক ভলান্টিয়ার ও স্থানীয় বাসিন্দারা রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর ব্লকের গোয়ালটুলি মোড়ের এক চাষি জমি থেকে ফসল তুলে বাড়ি ফিরছিলেন। সেসময়ে ওই কৃষককে গুলি করা হয়। জ্যোতিনগরের বাসিন্দা মিলন মণ্ডল নামে ওই কৃষকের পেটে গুলি লাগে। রাতেই তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সুস্থ। অন্যদিকে, ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে জমিতে বেগুন তুলতে গিয়ে এক কৃষক খুন হন। তাঁর গলাকাটা মৃতদেহ পুলিস উদ্ধার করে। ওই ঘটনাটিও ঘটে গোয়ালটুলি মোড়ে। ফাঁসিদেওয়ার ভক্তিনগরের বাসিন্দা বিনয় বসু নামে ওই কৃষকের মৃত্যুর ঘটনায় যদিও পুলিস এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার পেছনে গোরু পাচারকারীদের যোগ খুঁজে পেয়েছেন। এলাকার লোকজনের দাবি, বিকেলের পর বাংলাদেশ সীমান্তে গোরু নিয়ে যাওয়া হয়। ধান, সব্জি খেতের উপর দিয়ে গোরু নিয়ে যাওয়ায় ওসব ফসল নষ্ট হচ্ছে। বাধ্য হয়ে কেউ কেউ সন্ধ্যার পর খেতে পাহারা দেন। এতে পাচারকারীদের অসুবিধা হয়। তারা কৃষকদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে যায়। তখনই গুলি চালানো থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করার মতো ঘটনা তারা ঘটাচ্ছে।