কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত অবশ্য বলেন, জেলার মানুষ এখনও মনেপ্রাণে কংগ্রেস। সেটা আমরা টের পাই। সাংগঠনিক কিছু ক্ষতি আমাদের হয়েছে। কিন্তু সামনের পুরসভা ও বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা বুথভিত্তিক সভা করছি। এরপর অঞ্চল পঞ্চায়েত সমিতিও জেলা স্তরে সভা হবে। দলের যুব, ছাত্র, আইএনটিইউসি সহ বিভিন্ন শাখা সংগঠনকে নিয়ে আমরা কাজ করছি। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পুরসভা, জেলা পরিষদ সর্বত্র দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা বিডিও, থানা, এসপি, ডিএম অফিস ঘেরাও করব। ২০২১ সালের আগে জেলায় ঘুরে দাঁড়াবই আমরা। কোথাও হতাশা নেই।
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, সমস্যাটা হচ্ছে তৃণমূলের সর্বগ্রাসী ও বাহুবলী রাজনীতির জন্য। আমরা নতুন নেতা তুলে আনলে, তাঁদের ভয় দেখিয়ে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে ওরা নিজেদের দলে টেনে নিচ্ছে। তবু আমরা নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সবথেকে বেশি জোর দিচ্ছি।
প্রবল প্রতাপশালী লাল জমানার সময় কংগ্রেস কিন্তু রাজ্যের দু-একটি জেলার সঙ্গে এই উত্তর দিনাজপুর জেলা ও রায়গঞ্জে তাদের প্রভাব বজায় রেখেছিল। এমনকী রাজ্যে পালাবদলের পরেও এখানে কংগ্রেস তাদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে পেরেছিল। বাম জমানাতেই তারা জেলা পরিষদের ক্ষমতা দখল করেছিল। এক সময় জেলার ৯৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৭৮ টিতেই কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল। পঞ্চায়েত সমিতিগুলিও তাদের দখলে ছিল। জেলার নয়টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ছ’টিতে তাদের বিধায়ক ছিল। একান্ত আলোচনায় জেলা কংগ্রেসের একাধিক নেতা বলেন, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর জেলায় দলের ভিতটা নড়বড়ে হয়ে যায়। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তারা জেলায় ক্ষীণভাবে হলেও অস্তিত্ব জানান দিতে পেরেছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে জেলা সদর রায়গঞ্জের পুরসভা নির্বাচন তাদের সংগঠনের উপর কার্যত প্রাণঘাতী আঘাত হানে। ক্ষমতায় না থাকলে সংসদীয় রাজনীতিতে টিকে থাকা বড়ই মুশকিল। পুলিস, প্রশাসন কথা শোনে না। নেতা-কর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে। তাঁদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভরসাএকটাই, মানুষ সব দেখছেন, বুঝছেন।