দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
জলপাইগুড়ির ফুল ব্যবসায়ী বুবাই সরকার বলেন, রোজ ডে’তে ৫০০ মিনি গোলাপ, ৭০০ ডাচ গোলাপ বিক্রি করেছি। ব্যবসা ভালো হওয়ায় ভ্যালেন্টাইনস ডে’র আগে ১০০০ পিস ডাচ গোলাপ, ১০০০ পিস মিনি গোলাপ এনেছি। প্রেম দিবসে গোলাপের চাহিদা ভালোই থাকে। তিস্তা উদ্যানের সামনের ফুচকা ব্যবসায়ী লালু সাহানী বলেন, রোজ ডে’তে তিস্তা পাড়েই ব্যবসা ভালো হয়েছে। শুক্রবার ভ্যালেন্টাইনস ডে’তেও ওখানেই দুপুর থেকে দোকান নিয়ে বসব।
ডাচ গোলাপের চাহিদা প্রবল জলপাইগুড়িতে। জেলায় গোলাপের চাষ না হওয়ায় বেঙ্গালুরু থেকে ব্যবসায়ীরা ডাচ গোলাপ নিয়ে এসেছেন। গন্ধহীন মিনি গোলাপও শহরে প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে। সাত সকালে প্রিয় বন্ধুকে গোলাপ ফুল উপহার দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবারই অনেকে ফুল কিনছেন। প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে গোলাপ। গ্রামাঞ্চলের ব্যবসায়ীরাও এদিন শহরের মহাজনদের কাছ থেকে প্রচুর গোলাপ কিনে নিয়ে গিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, নতুন বছর পড়তেই গোলাপের চাহিদা প্রচুর বাড়ে। ফেব্রুয়ারিতে গোলাপের চাহিদা আরও বেড়ে যায়। রোজ ডে’তে জলপাইগুড়িতে কয়েক হাজার ডাচ গোলাপ ও মিনি গোলাপ বিক্রি হয়েছে। রোজ ডে’তে ব্যবসা ভালো হওয়ায় ভ্যালেন্টাইন দিবসের আগে প্রচুর গোলাপ এনেছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার ভালোবাসার মানুষকে গোলাপ দিয়ে শুভেচ্ছা জানাবেন অনেকেই। আবার প্রিয় বন্ধুকে গোলাপ দিয়ে মনের গোপন কথাটি প্রকাশ করবেন কেউ। নিজের প্রস্তাবে রাজি করাতে সেরা গোলাপই খুঁজছেন অনেকে। সেক্ষেত্রে ডাচ গোলাপের জুড়ি নেই।
তবে প্রতি পিস ডাচ গোলাপের দাম ৩০ টাকা হওয়ায় অনেকেই মিনি গোলাপেই কাজ সারছেন। গন্ধহীন মিনি গোলাপ ১০ টাকা প্রতি পিসে বিক্রি হচ্ছে। আর স্বল্প আয়ের উঠতি যুবকরা অনেকেই মিনি গোলাপেই ভরসা করছেন। তিস্তা পাড়ে যুবক যুবতীদের ভিড় হওয়ার কারণে সেখানেই দুপুর থেকে ফুচকা, ঝালমুড়ির দোকান নিয়ে বসবে অনেক ব্যবসায়ী। এদিন তিস্তা উদ্যানের সামনে থেকে অধিকাংশ ফার্স্ট ফুডের দোকান তিস্তা পাড়েই হবে। গোলাপ ফুল হাতে দিয়ে প্রস্তাবে রাজি হলে বিশেষ বন্ধুকে নিয়ে ফার্স্ট ফুড খেতে খেতে আড্ডা ভালোই দেওয়া যাবে সেখানে। তিস্তা পাড় ছাড়াও করলা নদীর পাড়, রাজবাড়ি সংলগ্ন এলাকাতেই ভিড় জমাবেন প্রেমিক প্রেমিকারা।