পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মঙ্গলবার কোচবিহার সহ জেলার অন্যান্য পুরসভা এলাকাগুলিতে টোটো ও ই-রিকশর উপরে নিয়ন্ত্রণ আনতে প্রশাসনিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলা পরিষদের সভাকক্ষে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে জেলাশাসক পবন কাডিয়ান, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অভিজিৎ ভট্টাচার্য, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আহমেদ, ডিএসপি ট্রাফিক চন্দন দাস, জেলা পরিবহণ আধিকারিক আশুতোষ রায় সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
কোচবিহার শহর সহ জেলার অন্যান্য পুরসভাগুলিতে দীর্ঘ দিন ধরেই যানজটের সমস্যা রয়েছে। তার উপরে গ্রামাঞ্চল থেকে প্রচুর সংখ্যায় টোটো ও ই-রিকশ প্রতিদিন শহরের ভিতরে যথেচ্ছভাবে ঢুকে পড়ায় সমস্যা আরও জটিল আকার ধারণ করে। যানজটের জেরে কোচবিহার শহরের রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে বা পায়ে হেঁটে চলাচল করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। একারণেই এবার শহরে চলাচলকারী টোটোর পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) বলেন, কোচবিহার শহর লাগোয়া পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত ছাড়া অন্য এলাকার টোটো শহরে ঢুকতে পারবে না। তারা শহরে ঢোকার ১৫টি এন্ট্রি পয়েন্ট পর্যন্তই আসতে পারেব। সেখানে স্ট্যান্ড হবে এমনটা ভাবা হয়েছে। কোচবিহারের সাগরদিঘির পাড়ে টোটো চলাচল করতে দেওয়া হবে না। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বলেন, টোটো ও ই-রিকশকে একটি নিয়মের মধ্যে আনার জন্য এদিন বৈঠক হয়েছে। কোচবিহার শহর লাগোয়া পাঁচ গ্রাম পঞ্চায়েত গুড়িয়াহাটি-১ ও ২, চকচকা, খাগড়াবাড়ি ও টাকাগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের টোটো বাদে বাকি গ্রাম পঞ্চায়েতের টোটো শহরে ঢুকতে পারবে না। এসব চিহ্নিত করার বিষয়টি পরিবহণ বিভাগ ও গ্রাম পঞ্চায়েত দেখবে। কোচবিহারের মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল বলেন, কোচবিহারের সাগরদিঘির পাড়ে কোনও টোটো ও ই-রিকশ চলাচল করতে পারবে না। এবিষয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে শনি ও রবিবার পর্যন্ত মাইকিং করা হবে।
কোচবিহারের ডিএসপি ট্রাফিক চন্দন দাস বলেন, কোচবিহার পুরসভা এলাকায় সাড়ে তিন হাজার, দিনহাটায় দু’হাজার ও বাকি পুরসভা এলাকাগুলিতে দেড় হাজার করে টোটো চলাচল করবে। এর বেশি টোটো শহরে চলাচল করলে যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমস্যা হবে। শহর ও গ্রামের টোটোকে আলাদা রঙ করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।