পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মাল ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার সুজিত বিশ্বাস বলেন, সমস্যার কথা আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি। এদিন আধারের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। মাল মহকুমা শাসক বিবেক কুমার বলেন, ব্যাঙ্কগুলিতেও যাতে আধারের কাজ করা যায় তা দেখা হচ্ছে।
শহরের মহাকাল মোড় থেকে আসা মিনতি ওঁরাও বলেন, আমরা রাত ২টো থেকে এখানে বসে আছি। কিন্তু বেলা গড়িয়ে গেলেও পোস্ট অফিস কাজ শুরু করেনি। এখানে অনেকেই দূরদূরান্ত থেকে আধার কার্ডের সংযোজন করার জন্য এসেছেন। একদিনে এত মানুষ এসে পড়ায় সমস্যা হয়েছে। এভাবে আমাদের হয়রানির শিকার হতে হল।
উল্লেখ্য, মাল মহকুমা এলাকায় পোস্ট অফিসে আধার কার্ড তৈরি ও সংশোধনের জন্য একটি মাত্র কাউন্টার থাকায় প্রতিদিন ভিড় হয়। কিছুদিন আগে ঝামেলাও হয়েছিল। পরে ডাকঘর কর্তৃপক্ষ টোকেন সিস্টেম চালু করে। নির্দিষ্ট দিনে টোকেন দেওয়া হতো। সেই টোকেনে উল্লেখ থাকা দিন অনুযায়ী আবেদনকারীরা আবেদন জমা দিতেন। বাড়িতে কার্ড পৌঁছে যেত। সেই মতো ডাকঘর কর্তৃপক্ষ ২৮ জানুয়ারি টোকেন দেবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। একথা প্রচার হতেই মঙ্গলবার ভোরের আলো ফোটার আগে থেকেই অন্তত ২০ হাজার মানুষ ডাকঘরের সামনে ভিড় জমান। ডাকঘর খুলতেই মানুষের ভিড়ে অশান্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ডাকঘর কর্তৃপক্ষের অনুমান ছিল ২০০০ মানুষ আসবে। কিন্তু অসংখ্য মানুষের ভিড় দেখে তারা টোকেন দেওয়া স্থগিত রাখে। এতেই ক্ষুব্ধ জনতা পথ অবরোধ করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাস্তায় নামেন মহকুমা শাসক। পরে সিদ্ধান্ত হয় পঞ্চায়েত ভিত্তিক নির্দিষ্ট দিনে টোকেন দেওয়া হবে। ডাকঘর কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট একটি দিনে একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য টোকেন দেবে। এই বিজ্ঞপ্তি মাইকে ঘোষণার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।