কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জলদাপাড়া জঙ্গল সংলগ্ন হওয়ায় মাথাভাঙা-২ ব্লকে মাঝেমধ্যেই বাইসন ঢুকে পড়ে। তবে এর আগে একটি বা দু’টি বাইসন ঢুকেছে। কিন্তু এদিন একদল বাইসন যেভাবে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে তাতে বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বড়শৌলমারির মুকুলডাঙা থেকে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটারের মতো।
বনদপ্তরের মাথাভাঙার রেঞ্জার সজল পাল বলেন, এদিন মুকুলডাঙা ও শিঙিজানিতে একদল বাইসন ঢুকেছে। স্থানীয়রা আমাদের জানিয়েছেন ছ’টি বাইসন তাঁরা দেখেছেন। আমরা দুটি বাইসনকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করে উদ্ধার করেছি। একটি বাইসন মারা গিয়েছে। আমরা তল্লাশি জারি রেখেছি। আরও বাইসন থাকলে উদ্ধার করা হবে। আমাদের এক আধিকারিক বাইসনের হামলায় জখম হয়েছেন। বাইসনের গুঁতোয় একজন জখম হয়েছেন। অপর দু’জন বাসিন্দা পালাতে গিয়ে জখম হয়েছেন।
এদিন সকালে বড়শৌলমারির পশ্চিম মুকুলডাঙায় মানসাই নদী সংলগ্ন লোকালয়ে বাসিন্দারা একদল বাইসনকে দেখতে পান। ছ’টি বাইসনের দলটিকে দেখে বাসিন্দারা ছোটাছুটি শুরু করে দেন। সকলে মিলে বাইসনগুলিকে তাড়া করলে সেগুলি শিঙিজানির বানবাসি এলাকায় চলে যায়। খবর পেয়ে বনদপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাইসনগুলিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করার চেষ্টা করেন। সেসময় একটি বাইসন বনদপ্তরের আধিকারিক অভিজিৎ নাগের দিকে তেড়ে আসে। পালাতে গিয়ে তাঁর পা ভেঙে যায়। ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। এদিকে আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা সামিনুর মিঁয়াও বাইসনের হামলায় মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন। তিনি পশ্চিম মুকুলডাঙায় শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন। তাঁকে প্রথমে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও পরে শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে, বাইসনের তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়ে শিবু দে ও প্রতাপ বর্মন পড়ে গিয়ে জখম হয়েছেন। তাঁদেরকেও ফালাকাটা সুপার স্পপেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এরপর বনবাসিতে বাইসনের দলটি আলাদা হয়ে যায়। ফলে সমস্যায় পড়েন বন কর্মীরা। বাইসন দেখতে প্রচুর মানুস ভিড় জমায়। দু’টি বাইসনকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে কাবু করা সম্ভব হলেও একটি বাইসন পালিয়ে যায়। পরে সেটি মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়। অন্য তিনটি বাইসনকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুমপাড়ানি গুলি করে কাবু করার চেষ্টা চলেছে। বাসিন্দারা জানান, দু’টি বাইসন মানসাই নদী পেরিয়ে মাথাভাঙা-১ ব্লকের হাজরা এলাকার দিকে গিয়েছে।