কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, পানিট্যাঙ্কি, পশুপতিনগর ও মিরিকের সীমানায় চেকপোস্টে ক্যাম্প খোলা হয়েছে। প্রতিটি ক্যাম্পে চার জন করে স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা, সর্দি-কাশি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা গেলেই সংশ্লিষ্টকে হাসপাতালে রেফার করা হবে। ভারত-নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন মহকুমার প্রতিটি গ্রামীণ হাসপাতালকে সতর্ক করা হয়েছে। এই ক্যাম্পগুলিতে নেপাল থেকে আসা পর্যটকদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। কারও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণ ধরা পড়লে তাঁকে প্রথমে নিকটবর্তী গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানো হবে। সেখান থেকে তাঁকে রেফার করা হবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে আইবি বিয়ারিং প্রযুক্তি যুক্ত ছয় বেড বিশিষ্ট আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। করোনার উপসর্গ ধরা পড়লে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর খোঁজ না মিললেও এবিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, গত শনিবার স্ব্যাস্থ্যভবন থেকে নির্দেশ আসার পর আমরা আইসোলেশন ওয়ার্ড খুলেছি। এই ওয়ার্ডে আইবি বিয়ারিং প্রযুক্তিযুক্ত ছ’টি বেড রাখা হয়েছে। কারও সংক্রমণ হলে হলে আমরা তাকে ওই ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা করতে পারব। দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তর তদারকি করছে।
চিনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মহামারির আকার নেওয়ায় বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী ইউহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস ইতিমধ্যে আরও ১২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। চিনে ইতিমধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ২৮০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিবেশী দেশ নেপালেও হাজির করোনা ভাইরাস। নেপালে এক ব্যক্তির দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মেলার পর ভারতের চিন্তা বেড়েছে। নেপাল সীমান্তে বিশেষ সতর্কতার পাশাপাশি দেশের আটটি বিমানবন্দরে এখন থারমাল স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী,এই ভাইরাস পশুর দেহ থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তবে সম্প্রতি এই ভাইরাস সি ফুড খাওয়ার ফলেই ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন আক্রান্ত মানুষের শরীর থেকেও অন্য মানুষের শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির সংস্পর্শে এলে বা তার সঙ্গে হাত মেলালেও এই ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। তার উপর এই ভাইরাস দ্রুত ছড়ায় এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরে ঢুকে পড়ে। তাই বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে এই ভাইরাস নিয়ে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বেশ উদ্বিগ্ন। তাই নেপাল থেকে এ রাজ্যে ঢোকার চেকপোস্টগুলিতে ক্যাম্প বসিয়ে নজরদারির কাজ চলছে।