বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দম্পতির নাম বাবলি দাস ও যিশু দাস। তারা ভোলা সিং নামে এক ঠিকাদারের কাছে তাদের তিন মাসের সন্তানটিকে বিক্রি করেছে। জলপাইগুড়ির পুলিস সুপার অভিষেক মোদি বলেন, অবৈধভাবে শিশু কেনাবেচার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জলপাইগুড়ি শিশু কল্যাণ কমিটির চেয়্যারপার্সন বেবি উপাধ্যায় বলেন, গত বছরেই টাকার লোভে সন্তান বিক্রি হওয়ার ঘটনা শুনি আমরা। তারপর থেকেই স্থানীয়দের ওই বিষয়ে সর্তক করা হয়। ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে বিক্রি করা হয়েছে জানতে পেরেই আমরা সেখানে যাই। পুলিস এসে তাদের গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। শিশুটিকে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। আট বছরের শিশুটিকে কোরক হোমে রাখার নির্দেশ দিয়েছি। জলপাইগুড়ি অতিরিক্ত মুখ্যবিচার বিভাগীয় আদালতে সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ধৃতদের সাত দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,যিশু দাস ও বাবলি দাসের বাড়ি জলপাইগুড়ির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মহামায়া পাড়ায়। যিশু দাস ব্যান্ডে বাজনাদারের কাজ করেন। স্ত্রী বাবলি দাস গৃহবধূ। তাদের চারটি সন্তান থাকলেও দু’জনের কোনও খোঁজ নেই। গত বার একটি কন্যা সন্তান হওয়ার পরে হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়ে যায় বাবলি। সে বাপের বাড়ি যাওয়ার নাম করে কয়েকদিন বাইরে থেকে আসার পরে আর ওই সন্তানটিকে দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এবার বাবলি দাস সন্তানসম্ভবা হওয়ার পরেই তার উপর নজরদারি রাখতে শুরু করে স্থানীয়রা। এবারও তিন মাসের ফুটফুটে পুত্র সন্তানকে বাপের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার নাম করে নিয়ে গিয়ে একা ফিরে আসে সে। সন্তানকে দেখতে না পেয়ে বাবলিকে চেপে ধরে প্রতিবেশীরা। বাবলির অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তারাই কোতোয়ালি থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। পুলিসি জেরায় ওই পাড়ারই ভোলা সিংয়ের কাছে সন্তান বিক্রির কথা স্বীকার করে সে। পুলিসকে দম্পতি জানায়, পেশায় ঠিকাদার ভোলা সিংয়ের কাছে থেকে ৪০ হাজার টাকায় সন্তান বিক্রি করে দেয় তারা। টাকার লোভেই তারা একাজ করেছে।