কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
২৩ জানুয়ারি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে, এই মহাবরেণ্য দেশনায়কের ঠিক একশ’ বছর পরে জন্মেছেন অর্জুন। তাই হয়তো আশৈশব নেতাজীকেই জীবনের ধ্রুবতারা বলে মানেন তিনি। এবছর অবশ্য নিজের জন্মদিনের উৎসবটাকে পিছিয়ে দিয়েছেন আরও ৭২ ঘণ্টা। সাধারণতন্ত্র দিবসের সকালেই পুরাতন মালদহের খেড়িবাড়ি গ্রামে চলে যান অর্জুন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর সতীর্থরা। পুরাতন মালদহের হালদারপাড়া শ্যামা সংঘের সম্পাদক সন্টু হালদার, গৌতম হালদার, সঞ্জয় ধর সহ অনেকেই অর্জুনের আমন্ত্রণে সাড়া না দিয়ে পারেননি। খেড়িবাড়ির ৬২টি আদিবাসী পরিবারের শিশুদের নিয়ে বনভোজনের মেজাজে ভাত, ডাল, আলু-ফুলকপির তরকারি, বেগুনি, আলুভাজা, চাটনি, পাঁপড় মিষ্টি দিয়ে পংক্তিভোজন সারা হয়। তারপর প্রত্যেক শিশুর হাতে ছবি আঁকার জন্য নতুন খাতা ও রঙিন পেন্সিলও তুলে দিয়েছেন ২৩ বছরের এই তরুণ।
ছাত্রের এই সিদ্ধান্তে গর্বিত মালদহ কলেজের অধ্যক্ষ মানস বৈদ্য। তিনি বলেন, মালদহ কলেজে অ্যাকাউন্টস অনার্স নিয়ে আমাদের কলেজে চার বছর পড়েছে অর্জুন। ওর মানবদরদী মানসিকতা আমাদের নজরে পড়েছে আগেও। শুধু তাই নয়। বন্ধুদের মধ্যেও অর্জুন একইরকম জনপ্রিয়। কমার্স বিভাগের পুর্নমিলন অনুষ্ঠানের ব্যয়ের একটি বড় অংশ সে নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিল। সে. অনুষ্ঠানের উদ্বৃত্ত খাবার বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে খাইয়ে এসেছিল রেল স্টেশনের অনাথ শিশুদের। কলেজের পড়াশোনা শেষ করে মৎস্যজীবী পরিবারের ওপর নির্ভরশীল না থেকে সে নিজের চাকরির ব্যবস্থা নিজেই করে নিয়েছে। নিজস্ব উপার্জন সে ব্যয় করে সমাজের জন্য। ওর এই মানসিকতায় শিক্ষক হিসাবে আমরা গর্বিত ও অভিভূত।
প্রিয় শিক্ষকদের প্রশংসায় আপ্লুত লাজুক অর্জুন জানালেন, মানুষের সেবা তাঁকে প্রেরণা দেয়। তবুও এখনও অতৃপ্ত অর্জুন। তিনি বলেন, আমি সামান্যই কাজ করেছি এখনও পর্যন্ত। অনেক কাজ বাকি। সৈন্যবাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশের সেবা করতে চাই। যদি এই স্বপ্ন সফল না হয় তাহলেও এমন কিছু করতে চাই যাতে দেশের যন্ত্রণাকাতর মানুষের কষ্ট সামান্য হলেও কমে।