কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মালদহ শহরের নেতাজি মোড়ে জাতীয় পতাকা বিক্রি করেন সঞ্জয় গুপ্তা, মানু হোসেনরা। তাঁদের বক্তব্য, আমরা সারা বছরই জাতীয় পতাকা বিক্রি করি। ২৩ জানুয়ারি, ২৬ জানুয়ারি বা ১৫ আগস্ট বেশি সংখ্যায় জাতীয় পতাকা বিক্রি হয়। এছাড়াও ভারতের সঙ্গে অন্যান্য দেশের ক্রিকেট খেলা থাকলেও আবার অনেকে আমাদের দোকানে জাতীয় পতাকা কিনতে আসেন। বছরের বাকি সময়টা কিন্তু সেরকম বিক্রিবাট্টা হয় না। কিন্তু এখন দেখছি, সেরকম কোনও উপলক্ষ না থাকলেও অনেকেই অন্যান্য সময়েও জাতীয় পতাকা কিনছেন। এনআরসি নিয়ে যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরাও মাঝে মাঝেই জাতীয় পতাকা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা ব্যবসায়ী, বিক্রির দিকে তো মনোযোগ দিই বটেই, তবে জাতীয় পতাকা বেশি বিক্রি হলে ব্যবসার পাশাপাশি নিজেদের দেশের কাজ করতে পারছি বলেও ভালো লাগে।
মালদহ শহরের এক জাতীয় পতাকা বিক্রেতা ত্রিদিব ঘোষ বলেন, আমি নির্দিষ্ট কিছু সময়েই শুধু জাতীয় পতাকা বিক্রি করি। বছরের অন্যান্য সময় অন্যান্য কাজ করি। কিন্তু শহরের অনেকেই জানেন যে আমার বাড়িতে সবসময়ই জাতীয় পতাকার স্টক থাকে। তাই এখন বছরের অন্যান্য সময়েও অনেকেই আন্দোলন করবেন বলে জাতীয় পতাকা কিনতে আসছেন আমার কাছে। তাতে আমার ভালোই লাগছে।
এক পতাকা বিক্রেতা বলেন, ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় সেনাবাহিনীর ওপরে আক্রমণের পরে ভারত যখন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিল তখনও শহরে অনেক অনুষ্ঠান হয়েছিল। বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়ে একাধিক কর্মসূচি পালন করেছিলেন। সেসময়ও অনেক জাতীয় পতাকা বিক্রি হয়েছিল। তরুণ তরুণীরা জাতীয় পতাকা কিনে মিছিল করেছিলেন। এখনও অনেকটা সেরকমই হচ্ছে। নাগরিকত্ব ইস্যুতে অনেক রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি অনেক অরাজনৈতিক সংগঠনও এখন নানা কর্মসূচি পালন করছে। জাতীয় পতাকা নিয়েও অনেকে মিছিল করছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও এখন নিজস্ব রাজনৈতিক পতাকার পাশাপাশি বেশ কিছু সংখ্যায় জাতীয় পতাকা কিনতে আসছে। আবার কোনও কোনও সংগঠন তো কোনও রাজনৈতিক পতাকা ছাড়া শুধু জাতীয় পতাকা নিয়েই আন্দোলন করা পছন্দ করছে। স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে জাতীয় পতাকার বিক্রি। যাঁরা এনআরসি ও সিএএ’র পক্ষে আন্দোলন করছেন তাঁরাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জাতীয় পতাকা খুঁজতে আসছেন বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। অনেকে আবার মোটরবাইকে, গাড়িতে বা সাইকেলে ছোট প্লাস্টিকের জাতীয় পতাকা লাগাতে পছন্দ করছেন। দিন কয়েক আগে ইংলিশবাজার পুরসভার পক্ষ থেকে ২৩ জানুয়ারি যে শোভাযাত্রা বেরিয়েছিল সেখানেও অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছোট ছোট জাতীয় পতাকা দেওয়া হয়েছিল। ক্রমশ বাড়ছে জাতীয়তাবোধ। বাড়ছে জাতীয় পতাকার বিক্রিও। খুশি সব মহলই। বিক্রেতারা বলেন, ৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত দামের জাতীয় পতাকা বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দোকানে। সিল্কের তৈরি জাতীয় পতাকার দাম অনেকটাই বেশি।