বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রঞ্জনবাবুর হাতে নিগৃহীত ওই স্কুল পড়ুয়ারা বলে, আমরা বন্ধুরা সেখানে গল্পগুজব, হাসিঠাট্টা করছিলাম। হঠাৎই কাউন্সিলার মঞ্চ থেকে নেমে আমাদের দিকে তেড়ে আসেন, বেরিয়ে যেতে বলেন। গালিগালাজ করতে থাকেন, জামার কলারও টেনে ধরেন। ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। কাউন্সিলারের কাছ থেকে এমন ব্যবহার আশা করিনি।
বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় বাসিন্দা সৌরভ সরকার বলেন, ওয়ার্ড উৎসব চলাকালীন রঞ্জনবাবু এক কিশোরের গায়ে হাত দেন। এটা ওঁর স্বভাবের মধ্যেই পড়ে। আমরা এর প্রতিবাদ করি। এরআগে তিনি যেসব কাণ্ডকারখানা করছেন সেটা শুধু শিলিগুড়িবাসীই নন, গোটা রাজ্য জানে। কয়েকমাস আগে বিজেপির ডাকা বন্ধের দিনে আমার গায়েও তিনি হাত দিয়েছিলেন। পুরসভা ভোটের খসড়া তালিকা অনুযায়ী ওয়ার্ডটি এসসি’দের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। তাই এখন দিশেহারা হয়ে তিনি এসব করছেন। ওঁর সংযত হওয়া দরকার। বিজেপি এখনও ওয়ার্ডে আছে। এরপরেও যদি এমনটা ঘটায় তবে ওঁর হাত ভেঙে আমরা ঘরে বসিয়ে রাখব।
কাউন্সিলার রঞ্জনবাবু বলেন, কাউকে মারধর করিনি। ওরা অনুষ্ঠান স্থলে সমস্যা করছিল। বাইরে থেকে প্রচুর দর্শক এসেছিলেন। তাঁদের সামনে পাড়ার বদনাম হোক আমরা চাই না। তাই সন্তানতুল্য ওই বালকদের শাসন করেছি। এনিয়ে বিজেপি রাজনীতি করতে চাইছে। আমার হাত ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এটাই ওদের প্রকৃত পরিচয়।
যুব মোর্চার শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন দেবনাথ বলেন, যে কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে তাঁর আচারআচরণ সকলেরই জানা। এরআগে আমাদের সাধারণ সম্পাদকের উপর তিনি হামলা করেছিলেন। বাচ্চাদের মারধর সহ্য করতে না পেরে উত্তেজনায় সৌরভ হয়ত কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ওয়ার্ড উৎসব উপলক্ষে ঘোগোমালির পঞ্চানন মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে পাড়ার কিছু অল্পবয়সি হাসিঠাট্টা, হইচই করছিল। অভিযোগ, হঠাৎই রঞ্জনবাবু ওই ছেলেদের দিকেই তেড়ে এসে গালাগালাজ করেন। তাদের ধাক্কা মেরে সেই জায়গা থেকে হটিয়ে দেন। একজন জনপ্রতিনিধি এহেন আচরণ ঘিরে এলাকায় তীব্র প্রতিক্রয়া হয়। যদিও কাউন্সিলারের দাবি, অনুষ্ঠান চলাকালীন ওই ছেলেরা সমস্যা করছিল। মঞ্চ থেকে ঘোষক বার বার তাদের শান্ত থাকতে বলেন। তারা কথা শোনে না। বাইরের অনেক দর্শক সেসময়ে মঞ্চের সামনে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করছিলেন। তাই অভিভাবক হিসেবে ওদের মাঠের বাইরে যেতে বলেছি। এনিয়ে বিজেপি রাজনীতি করতে চাইছে। হাত ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।