রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুরের ডেপুটি পুলিস সুপার ধীমান মিত্র বলেন, মৃতের পরিবারের তরফে অভিযোগের পরে সুকুমার বর্মনের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত জয়ন্তী বর্মনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে খুনের ঘটনার কিনারা পুলিস করে ফেলবে। সুধাংশু বর্মনের খোঁজে পুলিস তল্লাশি চালাচ্ছে।
মৃত সুকুমার বর্মনের ভাই পলাশ বর্মন বলেন, পুলিস কেন এখনও সুধাংশুকে গ্রেপ্তার করছে না বুঝে উঠতে পারছি না। দ্রুত গ্রেপ্তার করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি করছি।
মৃত সুকুমার বর্মনের পরিবারের অভিযোগের পরে স্ত্রী জয়ন্তী বর্মনকে পুলিস আটক করে নিয়ে আসে। আটকের পর তাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চলে। তাতে বেশকিছু অসঙ্গতি পেতেই পুলিস জয়ন্তী বর্মনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়ন্তী বর্মনের সঙ্গে সুধাংশু বর্মনের গভীর সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন একাধিকবার সুধাংশুকে সুকুমার বর্মনের বাড়িতে যেতে দেখেন প্রতিবেশীরা। সন্ধ্যের দিকে সুধাংশু সুকুমার বাবুর বাড়িতে গিয়েছিল। তবে সন্ধ্যের পর কী ঘটনা ঘটেছিল তা এখনও পুলিস জানতে পারেনি। পুলিস ইতিমধ্যে এনিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। মহিলাকে আদালত থেকে পুলিসি হেপাজতে পেতেই মহিলা পুলিস তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তাতে একধিক তথ্য হাতে পেয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। যদিও এখনও সুধাংশু বর্মনকে পুলিস গ্রেপ্তার না করতে পারায় মৃতের পরিবারের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অভিযুক্ত সুধাংশু বর্মন প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে ল’ কলেজের পিছন থেকে পশ্চিম রায়নগরের পাঙ্গারপাড়ার বাসিন্দা পেশায় টোটো চালকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়। শুক্রবার এনিয়ে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরিবারে তরফে মৃতের স্ত্রী ও প্রতিবেশী যুবক সুধাংশু বর্মন ও সুকুমার বর্মনের এক বন্ধুর নামে লিখিত অভিযোগ থানায় দায়ের করা হয়।