বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ইসলামপুর পুলিস জেলার সুপার সচিন মক্কর বলেন, আগডিমটিখন্তির ঘটনার পরে চোপড়ার বন্ধ বাগানগুলি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছি। পুলিসের পক্ষ থেকে কী করা সম্ভব তা দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে মহকুমা ও ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা করা হবে। ইসলামপুর মহকুমার সহকারি লেবার কমিশনার শেখ নওশাদ আলি বলেন, বন্ধ বাগানগুলির মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় আইনত ব্যবস্থা যা যা নেওয়া সম্ভব তা করা হচ্ছে। কোথাও গণ্ডগোল কিংবা জমি দখল হলে তা পুলিস-প্রশাসন দেখবে।
আইএনটিইউসি অনুমোদিত ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব প্লান্টেশন ওয়ার্কাসের সাধারণ সম্পাদক তথা চোপড়া ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অশোক রায় বলেন, শ্রমিকদের স্বার্থে আমরা আছি। সরকারি নিয়ম অনুসারে বন্ধ বাগানের শ্রমিকেরা মাসে ১৫০০ টাকা করে ভাতা পাওয়ার কথা। কিন্তু চোপড়ায় শ্রমিকরা পাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি শ্রমিকেরা যাতে এই সুবিধা পায়। শ্রমিকদের সমস্যা মেটাতে মালিকপক্ষের সঙ্গে বহুবার বৈঠক হয়েছে। এলাকায় জমি মাফিয়া তৈরি হয়েছে। তারা বিভিন্ন বন্ধ বাগানের জমির দখল নিচ্ছে। গাছ কেটে নিচ্ছে। তৃণমূলের মদতে বন্ধ চা বাগানে অরাজকতা চলছে। সিটু অনুমোদিত ওয়েস্ট দিনাজপুর চা বাগিচা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক স্বপন গুহনিয়োগী বলেন, চোপড়ায় বন্ধ বাগানের একটি-দু’টি ইউনিটে শ্রমিকেরা পাতা তুলছে। কিন্তু বাকি বন্ধ বাগানগুলি মাফিয়ারা দখল নিতে চেষ্টা করছে। যে কোনও মুহূর্তে গণ্ডগোল হতে পারে। বন্ধ বাগানে বহু গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে। উত্তর দিনাজপুর চা বাগান তৃণমূল কংগ্রেস মজদুর ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি প্রেমকমল রায়চৌধুরী বলেন, কাজ হারানো শ্রমিকদের ১০০ দিনের কাজে যুক্ত করা হচ্ছে। জমি মাফিয়া নেই। জমি দখলও হয়নি। দুষ্কৃতীরা কিছু গাছ কেটেছে। প্রশাসন তা দেখছে।
স্থানীয়রা বলেন, চোপড়া বরাবরই উত্তেজনা প্রবণ। সামান্য কারণে গুলি, বোমা নিয়ে গণ্ডগোল লেগে যায়। চা বাগানগুলিতেও কর্তৃত্ব স্থাপন নিয়ে এখানে মারামারি, হানাহানি হয়। যে যার মতো করে মাসল পাওয়ার ব্যবহার করে। এখন বন্ধ বাগানগুলি নিয়ে এলাকায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বাসিন্দারা বলছেন, প্রশাসন এখন থেকেই সদর্থক পদক্ষেপ না করলে আগডিমটি’র মতো ঘটনা চোপড়াতেও ঘটতে পারে।