কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এবিষয়ে জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, জেলা প্রশানের উদ্যোগে কন্যাশ্রী মেয়েদের নিয়ে অনেক কাজই জেলায় চলছে। শুক্রবার প্রজ্ঞা প্রকল্পের মাধ্যমে কন্যাশ্রীদের নিয়ে ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। আগামীদিনে কন্যাশ্রীরা পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের এব্যাপারে সচেতন করবে। এছাড়া কলেজ পড়ুয়াদেরও কাজে লাগানো হবে।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, মেয়ে মানে শুধু পড়াশোনা করা, রান্না করা ও বিয়ে করা নয়। মেয়েদের সমাজকে বদলানোর দায়িত্বও নিতে হবে। আমাদের দেশের প্রচুর মহিলা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং তাঁদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশকে প্রথমদিকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। বাকি ৯০ শতাংশ মানুষ আগে থেকে জানতেই পারেন না যে তাঁরা এই রোগে আক্রান্ত। যার ফলে এখন থেকে কন্যাশ্রীরা আমাদের জেলায় সচেতনতা বাড়াতে ভূমিকা নেবে। প্রথমে তারা নিজেরা সচেতন হবে। তারপরে তারা প্রচার চালাবে।
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শ্রাবণী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ব্রেস্ট ক্যান্সার নিরাময় করতে নিজেদেরই সচেতন হতে হবে। জীবনযাপনের পদ্ধতি বদলাতে হবে। নিজের শরীর ও স্বাস্থ্যের প্রতি নিজেকেই লক্ষ্য রাখতে হবে। ক্যান্সারের আগে শরীরে নানারকম উপসর্গ দেখা যায়, সেগুলি নিজেদের বুঝে নিতে হবে। সেজন্য মেয়েদের সচেতন হওয়া দরকার। তারপরে কন্যাশ্রী মেয়েরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে বয়স্কদের সচেতন করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বালুরঘাটের বালুছায়া হলে প্রজ্ঞা প্রকল্পের কন্যাশ্রীদের নিয়ে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রায় শ’খানেক ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। জেলাশাসক নিখিল নির্মল, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে, ম্যাকিনটসের চেয়ারম্যান শঙ্কর চক্রবর্তী, ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ শ্রাবণী চট্টোপাধ্যায় সহ স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রতিনিধি দল ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। ব্রেস্ট ক্যান্সার কেন হয় এবং কিভাবে এই রোগ ধরা যায় তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা ভিডিও প্রোজেক্টরের মাধ্যমে ছাত্রীদের সচেতন করেন। এছাড়াও নানা উপসর্গ সম্পর্কে বোঝানো হয়। ছাত্রীরা যাতে নিজেরাই ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগ ধরতে পারে, সেই ব্যাপারে ঘরোয়া উপায়ে পাঁচটি পদ্ধতি শিখিয়ে দেওয়া হয়।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ সূত্রে খবর, মাত্র ৬০ শতাংশ রোগী ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে বাঁচতে পারেন, তাও যদি প্রথম ধাপে এই রোগ চিহ্নিত করা যায়। ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে মানুষ আগে থেকে জানতেই পারেন না। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর প্রজ্ঞা প্রকল্পের মাধ্যমে কন্যাশ্রীদের সচেতনতা প্রচারের কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে। প্রথমে স্কুলে স্কুলে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা কন্যাশ্রীদের সচেতন করবে এবং পরবর্তীকালে সেই কন্যাশ্রীরা ক্যান্সার নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালাবে।
বালুরঘাট খাদিম গার্লস স্কুলের ছাত্রী তিয়াসা সিংহ ও তিথি চক্রবর্তী বলে, আজকের এই কর্মশালার মাধ্যমে অনেক কিছু জানলাম। এখন আমরাই বড়দের সচেতন করতে পারব।