বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ব্লকের সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েত, দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েত, ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েত, মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েত, দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এবছর চাষিরা সরিষা চাষে অধিক ঝুঁকেছেন। এছাড়াও মালিওর-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত ও ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ও সরিষা চাষ দেখা গিয়েছে।
কৃষকরা জানান, সরিষা চাষ করতে সরকারি আনুকূল্যের প্রয়োজন আছে। ব্লক কৃষি দপ্তর থেকে পরিশোধিত বীজ, কীটনাশক সরবরাহ করলে বেশি ভালো হতো। যদিও ব্লক কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, সরিষা চাষের জন্য পরিশোধিত বীজ পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতায় বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে সরবরাহ করা হয়েছে। চাষের পদ্ধতিও চাষিদের জানানো হয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা কিঙ্কর দে তরফদার বলেন, দুই ধরনের সরিষা চাষ হয়ে থাকে ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলে। বিনয়, সুবিনয় জাতের সাদা সরিষা ও বি-৫৪ অগ্রণী জাতের টোরি বা লাল সরিষা। প্রায় সাড়ে ছয়শ হেক্টর জমিতে এই দুই ধরনের সরিষা চাষ হয়। তবে লাল সরিষার থেকে সাদা সরিষা বেশি চাষ করেন চাষিরা। কারণ লাল সরিষায় ৩০-৪০ শতাংশ তেল পাওয়া যায়। সাদা সরিষায় ৫০ শতাংশের বেশি তেল মেলে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর সরিষা চাষে ভালো ফলন হবে আশা করা যায়। কুয়াশা বেশি হলে ধসা রোগ দেখা দেয়। এবছর সে সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ধসা রোগ দেখা দিলে ছত্রাকনাশক মেটাল্যাক্সিল ও ম্যানকোজেব মিশ্রণ স্প্রে করতে হবে। বীজ শোধন করে সরিষা বুনলে বেশি ফলন পাওয়া যাবে। জাত পোকা যাতে সরিষা ফুলের কোনও ক্ষতি না করতে পারে সেজন্য চাষিদের সতর্ক থাকতে হবে।
আবহাওয়া অনুকূল থাকায় হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলে এবছর সরিষার ভালো ফলন হবে বলেই আশা করছেন চাষিরা। জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ বা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে সরিষা তোলা হবে। বিঘা প্রতি চার কুইন্টালের অধিক ফলন হবে। ফলন বেশি হওয়ায় মুনাফা বেশি হবে। স্বভাবতই চাষিরা উৎফুল্ল।