পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বামফ্রন্টের জেলা সম্পাদক তথা জেলা বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান অম্বর মিত্র বলেন, কংগ্রেস প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা হয়েছে। স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস কীভাবে আরও বেশি যৌথ কর্মসূচি নিতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি ইংলিশবাজার পুরসভার সামনে শহিদ বেদীর কাছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস যৌথভাবে সাধারণতন্ত্র দিবস পালন করবে। বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে। ৩০ জানুয়ারি বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে শহিদ দিবস পালন করা হবে। কংগ্রেস নেতৃত্ব ও সমর্থকরাও এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
একই কথা জানিয়েছেন জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায়। তিনি বলেন, আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই বামেদের নিয়ে একসঙ্গে মিছিল মিটিং করছি। আগামীতে আরও কিছু কর্মসূচি রয়েছে। ওই কর্মসূচিগুলি সফল করা আমাদের যৌথ দায়িত্ব। তা নিয়েই এদিন মূলত আলোচনা হয়েছে। তবে ইংলিশবাজার পুরসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস যৌথভাবে কী ফর্মুলা মেনে লড়াই করবে, তা নিয়ে এদিন মুখ খুলতে চায়নি কোনও পক্ষই।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক বলেন, আমরা এখনই সব কিছু প্রকাশ্যে আনতে চাইছি না। তবে দুই রাজনৈতিক দলের বৈঠকে রাজনৈতিক বিষয় আলোচনা হবেই। সামনে যখন নির্বাচন, তখন সেই প্রসঙ্গও স্বাভাবিকভাবেই আসতে পারে। কালীসাধন রায় বলেন, আমরা জোট বেঁধেই পুরসভা নির্বাচনে লড়ব তা মোটামুটি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। কোন দল কত আসনে লড়বে বা কোন কোন আসনে কারা লড়বে, তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। তার জন্য আরও কিছু বৈঠক করা দরকার। একই সঙ্গে জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি জানান, মালদহের দুই পুরসভার আসন সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। কোন নিয়মের ভিত্তিতে এই সংরক্ষণ তালিকা তৈরি হয়েছে তা জানতে চেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
৩১ জানুয়ারির মধ্যে এই সংরক্ষণ নিয়ে আপত্তি জমা দিতে হবে। ২৭ জানুয়ারির মধ্যে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে প্রাপ্য তথ্য না পেলে যে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট বেশ কিছু ক্ষেত্রে আপত্তি তুলবে, এদিন তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কংগ্রেসের জেলা কার্যকরী সভাপতি।
তবে দুই দলের জেলা নেতৃত্বের এই বৈঠককে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল ও বিজেপি। জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম নুরের বক্তব্য, নির্বাচনের ইস্যু হবে উন্নয়ন ও পরিষেবা। বাম আমলের থেকে পুর পরিষেবা অনেক বেশি উন্নত হয়েছে তৃণমূলের আমলে। ফলে জোট করেও বিরোধীদের সুবিধা হবে না। বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডলের বক্তব্য, বাম–কংগ্রেস সারা দেশের সঙ্গে মালদহ থেকেও কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছে। তাই একে অপরকে আঁকড়ে ধরে প্রাসঙ্গিক থাকার চেষ্টা করছে। ওদের উদ্দেশ্য সফল হবে না।