পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার কাজ শেষে বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের কাছ থেকে শংসাপত্র নেওয়া পড়ুয়া ও গবেষকদের স্বপ্ন। এহেন গরিমাপূর্ণ অনুষ্ঠান এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে না হওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সমাবর্তন নিয়ে স্টিয়ারিং কমিটি গত সেপ্টেম্বর মাসেই বৈঠকে বসে। সমাবর্তনের ফর্ম ফিল-আপের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞাপন দিয়ে দেয়। অনেকেই টাকা দিয়ে ফর্ম ফিল-আপ করেছেন। রীতি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আচার্যের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সম্মান ডিলিট ও ডিএসসি কারা পাবেন তা জানার জন্য সমাজে নিজস্ব ক্ষেত্রে বিশিষ্টদের তালিকাও রাজভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু রাজভবন থেকে এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রীতি ভেঙে উপাচার্যকে ডেকে পাঠানো হয়। এখানেই প্রথম ধাক্কা লাগে। এরপর ডিসেম্বর মাসে রাজ্য সরকার জানিয়ে দেয় উপাচার্যরা আচার্যের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যোগাযোগ রাখবেন না। উপাচার্যকে শিক্ষাদপ্তরের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই এসে যায় সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীকে আনার প্রস্তাব। তাঁর সময়ও পেতে হবে। এসব কারণেই গোল বাধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই বলছেন রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত এর আগেও আমরা দেখেছি। কিন্তু অতীতে তা কখনও শিক্ষা ক্ষেত্রে এসে পড়েনি।
এনিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সভাপতি বিবেক ওঁরাও বলেন, কিছু রাজনৈতিক সমস্যার জন্যই সমাবর্তন করা যায়নি। রাজ্যপালের ভূমিকাও ঠিক নেই। আশা করছি, দ্রুত সমাবর্তন হয়ে যাবে। এবিভিপি’র উত্তরবঙ্গ প্রদেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের প্রমুখ অলোক দেবভূতি বলেন, সময়ে সমাবর্তন না করতে পারা চূড়ান্ত প্রশাসনিক ব্যর্থতা। আমরা এর নিন্দা করছি। এনিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন চট্টোপাধ্যায় বলেন, সমাবর্তন যথাসময়ে এবং রীতি মেনেই করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স কাউন্সিলের সভাপতি সঞ্চারী রায় মুখোপাধ্যায় বলেন, কী কারণে দেরি হল সেনিয়ে কোনও মন্তব্য করব করব না। তবে সমাবর্তন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হওয়া উচিত।