ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
বনমন্ত্রী রাজীববাবু বলেন, ফালাকাটা বিধানসভার উপনির্বাচন জিততে বুধবার ফালাকাটায় অভিনন্দন যাত্রায় বিজেপি বাইরের ব্লক থেকে প্রচুর লোক নিয়ে এসেছিল। ফেব্রুয়ারির মাসের প্রথম সপ্তাহের যেকোন একদিন ফালাকাটায় আমাদেরও মেগা র্যালি হবে। তার প্রস্তুতি চলছে। দলের ওই মেগা র্যালিতে বাইরের কোনও লোক আনা হবে না। সেখানে থাকবেন শুধু ফালাকাটা বিধানসভার ভোটাররাই।
ফালাকাটা উপনির্বাচন জিততে মরিয়া গেরুয়া শিবির বুধবার ফালাকাটায় দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে দিয়ে অভিনন্দন যাত্রা করে। বিজেপির অভিনন্দন যাত্রাকে ঘিরে ও দলের কর্মীদের উদ্দীপনায় বুধবার ফালাকাটা কার্যত জনজোয়ারে ভেসেছিল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা, গেরুয়া শিবিরকে পাল্টা জবাব দিতেই এবার শাসক দল ফালাকাটাতে পাল্টা মেগা র্যালি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু তাই নয়, শুধুমাত্র ফালাকাটা বিধানসভার ভোটারদের নিয়ে মেগা র্যালি করে গেরুয়া শিবিরকে মুখের উপর জবাব দিতে চাইছে জোড়াফুল শিবির। এখন তারই প্রস্তুতি জোরকদমে চলছে।
কালিয়াগঞ্জ, করিমপুর ও খড়্গপুর জয়ের হ্যাট্রিকের পর শাসক দলের পাখির চোখ এবার ফালাকাটার উপনির্বাচন জেতা। আর তারজন্যই ওই মেগা র্যা লিকে সফল করতে বনমন্ত্রী রাজীববাবু ফালাকাটায় একটানা পাঁচদিন ধরে ঘাঁটি গাড়ছেন।
১৩ জানুয়ারি ফালাকাটা কমিউনিটি হলে রাজীববাবু, শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক ও কারিগরী শিক্ষামন্ত্রী পূর্ণন্দু বসুর উপস্থিতে দলের রাজনৈতিক কর্মশালা হয়। কর্মশালায় বনমন্ত্রী দলের স্থানীয় নেতৃত্বের কাছে ফালাকাটা বিধানসভার ২৬৬টি বুথ থেকে বুথ পিছু ১০ জন করে প্রকৃত তৃণমূল কর্মীর নাম চেয়েছিলেন।
তৃণমূলের ফালাকাটা ব্লক সভাপতি সন্তোষ বর্মন বলেন, কর্মীদের নামের সেই তালিকা এখন প্রায় সম্পূর্ণ। তৃণমূল সূত্রে খবর, বুথ পিছু দলের ওই ১০ জন প্রকৃত কর্মীকে নিয়ে রাজীববাবু বাড়ি বাড়ি উপনির্বাচনের প্রচারের রণকৌশল ও ঘুঁটি সাজাবেন। মেগা র্যালির প্রস্তুতির সঙ্গে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই এই প্রচার শুরু করবেন বনমন্ত্রী। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব স্বীকার না করলেও ফালাকাটায় বহু বুথে বিশেষ করে পদ্মফুল প্রভাবিত এলাকাগুলিতে জোড়াফুলের এখনও সাংগঠনিক দুর্বলতা আছে। ফালাকাটায় ওই রাজনৈতিক কর্মশালায় দলের এই সাংগঠনিক দুর্বলতার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজীববাবুও। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, এই সাংগঠনিক ব্যর্থতা বুঝেই বনমন্ত্রী বুথ পিছু ১০ জন করে প্রকৃত তৃণমূল কর্মীর নামের তালিকা চেয়েছিলেন দলের স্থানীয় নেতৃত্বের কাছে।
দলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বর্তমানে কলকাতায় রয়েছেন। মেগা র্যা লির প্রস্তুতি ও প্রচার নিয়ে তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছেন বলে দল সূত্রে খবর। দলের জেলা পর্যবেক্ষক শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক ও বনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে জেলায় ফিরে এসে তিনি প্রস্তুতির চূড়ান্ত কাজ খতিয়ে দেখবেন।