কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি ঝুলন সান্যাল বলেন, এদিন আমরা রাস্তা সম্প্রসারণের ব্যাপারে এবং মিনি স্টেডিয়াম গড়ে তোলার জন্য জেলাশাসককে জানিয়েছি। রাস্তা সম্প্রসারণ না হলে যানজট সমস্যা কখনই মিটবে না। রাস্তার একাংশে থাকা দখলদারদের সরিয়ে দেওয়ার অনুরোধও প্রশাসনের কর্তাদের জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে প্রশাসন ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গেও আলোচনায় বসতে পারে।
ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবম রায় বসুনিয়া বলেন, মিনি স্টেডিয়াম এবং রাস্তা সম্প্রসারণের ব্যাপারে এদিন জেলাশাসক আমাদের দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি স্টেডিয়াম করার ব্যাপারটি আমাদের প্রস্তাব আকারে পাঠাতে বলেছেন। স্থানীয়দের দাবিগুলি এদিন জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সামনে তুলে ধরা হয়।
ময়নাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সহ সম্পাদক সুমিত সাহা বলেন, রাস্তা সম্প্রসারণ হোক আমরাও চাই। তবে রাস্তার পাশ দিয়ে যেসব ব্যবসায়ী দোকান করছেন তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া হলে আমরা প্রশাসনকে সহযোগিতা করব। আমরা চাই না কোনও দোকানদার উচ্ছেদ করা হোক। জেলাশাসক জানিয়েছেন, ওনাদের দাবি আমি শুনেছি। প্রস্তাব আকারে জমা করতে বলেছি। আমি ওপর মহলের সঙ্গে ওসব নিয়ে পরবর্তীতে কথা বলব।
ময়নাগুড়ি সদরে প্রচুর টোটো সারাদিন চলাচল করে। কিন্তু কত টোটো চলে তার কোনও তথ্য ব্লক প্রশাসনের কাছে নেই। তাই দিনের অধিকাংশ সময়েই বিভিন্ন ব্যস্ত রাস্তায় যানজট লেগে থাকে। ময়নাগুড়ি ফুটবল খেলার মাঠে বিভিন্ন ক্লাব ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। কিন্তু এখানে বাসার জন্য কোনও গ্যালারি নেই। দর্শকদের দাঁড়িয়ে থেকেই খেলা দেখতে হয়। তাই এখানে একটি স্টেডিয়াম গড়ার দাবি রাখা হয়। এছাড়াও তিস্তা ব্যারেজ থেকে বিডিও অফিস পর্যন্ত এবং দ্বারিভেজা সেতু থেকে বিডিও অফিস পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণের দাবিও জেলাশাসকের কাছে রাখা হয়।
ময়নাগুড়ি সদর এলাকায় প্রতিদিন অফিস টাইমে যানজট সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে উঠেছে। কখনও কখনও যানজট এতটাই হয় যে তা সামলাতে পুলিস কর্মীদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। নিত্য যানজটের কারণে স্কুল পড়ুয়াদের হয়রানির শিকার হতে হয়। ময়নাগুড়ি সদর এলাকায় যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করা হয়। রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে পণ্যসামগ্রী নামানো হয়। রাস্তার ফুটপাতগুলির একাংশ দোকানদাররা আটকে তাঁদের দোকানের মালপত্র সাজিয়ে রাখেন। টোটোচালকরা রাস্তার একাংশ দখল করে টোটো দাঁড় করিয়ে রাখেন।