বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বইমেলাতে অনেক বইপ্রেমী ও ছাত্রছাত্রীরা আসেন। তাঁদের অনেক সময় বাড়ি ফিরতে দেরি হয়ে যায়। তখন গাড়ি পেতে সমস্যা হয়। অনেকে এই সমস্যার জন্যই মেলায় আসতে পারেন না। তাঁরা যাতে নিরাপদে বইমেলা থেকে বাড়িতে ফিরতে পারেন, সেজন্য জেলাশাসককে রাত আটটা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় বাসের ব্যবস্থা করার জন্য বলছি। এবিষয়ে জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, মন্ত্রী বলেছেন বিশেষ বাসের কথা। মন্ত্রীর নির্দেশ মত সেভাবেই বিশেষ বাস চালু করার চিন্তাভাবনা করছি।
মন্ত্রী ও জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলার বইপ্রেমীরা। কুমারগঞ্জের এক বইপ্রেমী ছাত্রী মৌমিতা বিশ্বাস বলেন, বালুরঘাট থেকে বাড়ি ফিরতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে। জেলা সদর থেকে বাড়িতে যাওয়ার শেষ বাস মেলে সন্ধ্যা সাতটায়। সেই কারণে বইমেলা থেকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার তাড়া থাকে। শুনলাম প্রশাসনের তরফে বিশেষ বাস দেওয়া হবে। সেজন্য খুব খুশি। এবার তাহলে একটু নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে বই কেনাকাটা করে বাড়িতে ফিরতে পারব।
প্রসঙ্গত, বুধবার থেকে বালুরঘাটের হাইস্কুলে সপ্তাহব্যাপী ২৮ তম বইমেলা শুরু হয়। মেলা শুরুর আগে বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে ‘বইয়ের জন্য হাঁটুন’ স্লোগান দিয়ে একটি একটি বণ্যার্ঢ শোভাযাত্রা গোটা শহর পরিক্রমা করে। সেখানে বালুরঘাটের বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে। দুপুর তিনটায় সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ফিতে কেটে বইমেলার উদ্বোধন করেন। এছাড়াও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা, জেলাপ্রশাসক নিখিল নির্মল, পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত, জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায়, বইমেলা কমেটির যুগ্ম সম্পাদক বিপ্লব খাঁ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মন্ত্রী নানা সরকারি উন্নয়নমূলক কাজের কথা তুলে ধরেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে গ্রন্থাগারের বাজেট ও পরিষেবা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। আগে বইমেলাতে টিকিট ছিল। এখন সমস্ত বইমেলায় প্রবেশ বিনামূল্যে করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বইমেলার ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেক জেলা, ব্লক ও বিভিন্ন এলাকায় বই সংরক্ষণ কেন্দ্র বা লাইব্রেরি করা কয়েছে। লাইব্রেরীতে ‘বই পড়ো বই ভরো’ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। যার মাধ্যমে বইপ্রেমীরা শুল্কবিহীন সদস্যপদ গ্রহণ করতে পারবেন। আগে সদস্যপদ নিতে টাকা লাগত। এছাড়াও যারা উচ্চশিক্ষার জন্য পড়াশোনা করতে চায়, তারা লাইব্রেরী থেকে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক বই নিতে পারবে। বিভিন্ন স্কুলের আশেপাশের লাইব্রেরি থেকেও ছাত্রছাত্রীরা নোট বই, পাঠ্যপুস্তক, প্রশ্ন বিচিত্রা সহ নানা রকমের বই সংগ্রহ করতে পারবে। জনশিক্ষা প্রসারে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের নানারকম সুবিধা দিচ্ছে সরকার।
উল্লেখ্য, এবারের বালুলরঘাট বইমেলাতে প্রায় ৭০টি বইয়ের স্টল দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ প্রকাশনাই কলকাতা থেকে এসেছে। বইমেলা প্রাঙ্গণে প্রতিদিন চলবে কবি সম্মেলন সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত বইমেলা চলবে।