কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পদমতি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটপাট্টি দুর্গাবাড়ির অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ওয়ার্কার সুমিত্রা রায় বলেন, আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বেশিরভাগ আইসিডিএস কেন্দ্রই খোলা আকাশের নিচে বসে। এক-দু’টি ছাড়া কোনওটিতেই শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই। কর্মীসহ এখানে আসা মহিলাদের আশেপাশের বাড়িতে যেতে হয়। তাছাড়া রান্না করার জলও পাশের বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে হয়। সমস্যার কথা বহুবার আমরা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে লিখিতভাবে জানিয়েছি। কিন্তু পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি।
ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের শিবম রায় বসুনিয়া বলেন, ময়নাগুড়ি ব্লকের ৫১৬টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র আছে। সব জায়গাতেই কিছু না কিছু সমস্যা আছে। আমরা প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নতুনভাবে গড়ার চিন্তাভাবনা করছি। তবে জমি পেতে সমস্যা হচ্ছে। জমিদাতা পাওয়া না গেলে নতুন করে ওসব গড়ে তোলা সম্ভব নয়। সম্প্রতি জল্পেশে নতুন একটি মডেল আইসিডিএস করা হয়েছে। যাতে সবক’টি কেন্দ্রেই শৌচালয়, জলের ব্যবস্থা করা যায় সেটা দেখা হচ্ছে।
ময়নাগুড়ির পদমতি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মোট ৩০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র আছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিংহভাগ কেন্দ্রই দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে আছে। কোনওটিতেই শৌচাগার নেই। পানীয় জলের ব্যবস্থাও নেই। এসব কেন্দ্রে কর্মরত মহিলারা তাই প্রতিদিন নানান সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে সদ্যোজাত থেকে শুরু করে প্রসূতি মহিলাদের পুষ্টিকর আহার দেওয়া হয়। এছাড়াও ১১ থেকে ১৮ বছর বয়সের কিশোরীদের নানা বিষয়ে সচেতন করা হয়। তাদের পুষ্টির বিকাশ যাচাই করা, ওজন ঠিক আছে কি না এসবও নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরীক্ষা করে দেখা হয়। কেন্দ্রগুলি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার, বুধবার এবং শুক্রবার করে আলু দিয়ে ডিমের ঝোল রান্না করে প্রসূতিদের ভাত দেওয়া হয়। মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবার সব্জি, সয়াবিন দিয়ে খিচুড়ি বানিয়ে প্রসূতিদের খাওয়ানো হয়। তিন থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের তিনদিন গোটা ও তিনদিন অর্ধেক ডিম দেওয়া হয়। তিনবছরের নীচের শিশুদের সপ্তাহে তিনটি ডিম দেওয়া হয়।