গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সন্ধ্যা নামলেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ভূতনির চরের জনবহুল এলাকাগুলির রাস্তাঘাট। আলো না থাকায় রাতবিতে গ্রামবাসীদের চলাফেরা করতে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর বাজার হাট থেকে ফিরতে অনেককেই সমস্যায় পড়ছেন। সন্ধ্যার পরে আলো কমে আসায় গ্রামের মহিলারাও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। গ্রামবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে পর্যাপ্ত আলোর দাবি জানিয়ে আসলেও তাদের সমস্যা না মেটায় ক্ষোভ বাড়ছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় তারা রাতে আলোর অভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ভূতনির বেশকিছু এলাকায় পর্যাপ্ত পথবাতির দাবি রয়েছে। এদিকে আলোর সমস্যা মেটাতে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
মানিকচক ব্লকের ভূতনি চরের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামগুলি সন্ধ্যার পর এই অন্ধকারে ডুবে যায়। ফলে জনবহুল এলাকা বাজার হাটে আলোর সমস্যা দেখা দেয়। বহু এলাকায় এখনও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় গ্রামবাসীরা রাতে দুর্ভোগে পড়েন। হীরানন্দপুরের গোবর্ধনটোলা, নন্দীটোলা, গৌরাঙ্গটোলা বাজারে আলোর ব্যবস্থা থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ। এছাড়াও দমনটোলার বাজারেও আলোর অভাব আছে। ভূতনির উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খুশবুটোলা, কবুতরটোলা চম্পানগর, মানিকনগরের মতো জনবহুল এলাকাগুলিতেও আলোর সমস্যা মেটেনি বলে অভিযোগ। ভূতনির বাগডোগরা মোড়, নন্দীটোলা হাই স্কুল মোড় সহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যের পরে অন্ধকারে ঢেকে যায়। ভূতনির হীরানন্দপুরের বাঁধের রাস্তাজুড়ে ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকে।
এবিষয়ে মানিকচক ব্লকের ভূতনির উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের বিউটি বিবি বলেন, পথবাতি নিয়ে মানুষের সমস্যা হতে পারে। যদিও বিষয়টি আমি নজর রাখছি। এনিয়ে আমরা পরিকল্পনা তৈরি করে জেলায় অনুমোদনের জন্য পাঠাব। যদিও আগে থেকে এলাকায় আমরা আলোর ব্যবস্থা করতে পেরেছি। কিছু এলাকায় আলোর ঘাটতি রয়েছে, এটা অস্বীকার করা যায় না। সেসব জায়গা চিহ্নিতকরণ করে আমরা পথবাতি বসানোর পরিকল্পনা নেব।
এবিষয়ে গ্রামবাসীরা বলেন, ভূতনির জনবহুল বিভিন্ন এলাকায় পথবাতির অভাব রয়েছে। যে কারণে রাতে আলোর অভাবে আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়। একটু রাত হয়ে গেলেই বাজার থেকে ফেরার সময় আমরা আতঙ্কে থাকি। দুর্ঘটনা ঘটার পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের আক্রমণেরও ভয় রয়েছে। শীতের রাতে চুরি ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটে। তাছাড়া মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়টি এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। আমরা চাইছি, প্রশাসন ভূতনির প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করুক।
ভূতনির হিরানন্দপুরের বাসিন্দা আনন্দ মণ্ডল বলেন, বাজার, হাট থেকে সন্ধ্যার সময় ফিরতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। রাস্তায় আলোর অভাব থাকায় এলাকা দিয়ে চলাচল করা যায় না। সাপ, পোকামাকড়ের উপদ্রব আছে। আমরা পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করার দাবি করেছি। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও জানিয়েছি।
ভূতনির বিজেপি নেতা বিষ্ণুপদ মণ্ডল বলেন, জনবহুল এলাকাগুলিতে পথবাতির ব্যবস্থা নেই। অথচ প্রতিদিন প্রচুর মানুষ বিভিন্ন মোড়ে জমায়েত হন। ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করেন। হরিবাসরপুর, নন্দীটোলা হাই স্কুল সংলগ্ন এলাকায় পথবাতির ব্যবস্থা করা দরকার। আমরা বিষয়টি দলীয়ভাবে প্রশাসনকে জানাব।
ওই এলাকা কৃষিনির্ভর হওয়ায় অনেক মহিলা জীবিকার তাগিদে বাজারে সবজি নিয়ে যান। তাঁদের বাড়ি ফিরতে অনেক সময় রাত হয়ে যায়। রাস্তায় পথবাতি না থাকায় তাঁরা সেসময় সমস্যায় পড়েন।