গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সদর শহরের রাস্তার ধারের দোকানগুলিতে এখন নানা মণীষীর ছবি, ব্যাচ, তেরঙ্গা টুপি, কাগজের পতাকা, তেরঙ্গা গেঞ্জি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়াও ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বড় বড় পতাকাও ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার, নেতাজির জন্মদিন। রবিবার সাধারণতন্ত্র দিবস। এই দু’দিনই এসবের চাহিদা থাকে। তাই ইতিমধ্যেই ভিড় জমে গিয়েছে সেই দোকানগুলিতে। স্কুলের পড়ুয়ারা ও তাদের অভিভাবকেরা সেসব দোকানে ঢঁে দিতে শুরু করেছেন। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বুধবার বিকালের পর থেকে বিক্রি আরও বেড়েছে। শুক্র ও শনিবার ব্যাপক বিক্রির ব্যাপারে আশাবাদী তাঁরা।
জানা গিয়েছে, বছরের সব সময় এই সামগ্রী নিয়ে তাঁরা বসেন না। ব্যবসার পাশাপাশি দেশপ্রেমের টানেই বছরে দু’বার পসরা সাজিয়ে বসেন আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে। আর ২০ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ভালো বিক্রি হয়। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী মূলত তিন ধরনের কাপড়ের পতাকার বিক্রি বেশি। খালি শহর নয়, সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকেও বহু মানুষ এখানে আসেন। জিনিসগুলি ক্রয় করেন।
ইংলিশবাজারে নেতাজি মোড়ে পসরা সাজিয়ে বসা বিক্রেতা সিরাজুল শেখ, মানু হোসেনরা বলেন, দেশপ্রেম সবার আগে। সবার হাতে হাতে তেরঙ্গা তুলে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন কয়েক আগে থেকেই পসরা সাজিয়ে বিক্রি করা শুরু করে দিয়েছি। পরের দিকে আরও ভালো ব্যবসা জমবে। ছোট, মাঝারি ও বড়ো-সব আকারের পতাকারই চাহিদা থাকে। সাইজ অনুযায়ী দাম হয়। জেলা সদরের কোর্টে বা জেলা পরিষদে অনেকে কাজে গ্রাম থেকে আসেন। তখন তাঁরা আমাদের এখান থেকে জিনিসপত্র কিনে নিয়ে যায়। বিকেলে পর থেকে পড়ুয়াদের ভিড় বাড়ে।
ওই চত্বরের আরও এক ব্যবসায়ী গোপালপ্রসাদ সাহা বলেন, আমাদের মূলত কাপড়ের বড়ো দোকান রয়েছে। শুধু দেশপ্রেমের টানেই এখন থেকে বড়ো তেরঙ্গা পতাকা বাইরে টাঙিয়ে রেখেছি। বহু ক্রেতারা আসেন। সবাই চাহিদা অনুযায়ী ছোট থেকে বড় পতাকা নিয়ে যান। বাটার কাপড়, সাটিন কাপড় ও গার্ডেন কাপড়-এই তিন ধরনের কাপড় দিয়ে তৈরী তেরঙ্গার চাহিদাই বেশি। বেশির ভাগ জিনিস দক্ষিণবঙ্গ থেকেই আসে।
পুরাতন মালদহের এক ব্যবসায়ী মনোতোষ সাহা বলেন, প্রতিবছর দোকান করি। তেরঙ্গা ও মনীষীদের ছবি দোকানে রাখা হয়েছে। বুধবার, বিকেল থেকে ভালো বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। সব ধর্মের মানুষেরা প্রবল উৎসাহ নিয়ে দোকানে ভিড় করেন। অনেকে বিশেষ বিশেষ দিনে সাইকেলে বা বাইকে পতাকা বা তেরঙ্গা স্টিকার লাগায়। সেগুলিরও চাহিদা অনেক।
তেরঙ্গা নিতে আসা ইংলিশবাজারে লক্ষণ সোম, গোলাম মুস্তাফারা বলেন, সামনেই ২৩ জানুয়ারি রয়েছে। তারপর আবার সাধারণতন্ত্র দিবস। তার রেশ এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। পরিবারের ছোটদের এই দিন দু’টি ঘিরে অনেক উৎসাহ থাকে। সকাল থেকে মেয়ে জেদ করেছে পতাকা এনে দেওয়ার জন্য। তাই সব কাজ ফেলে মেয়েকে নিয়ে দোকানে এসেছি।