বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলারা বাসিন্দারা জানান, স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ খেজুর গুড়। ব্যবসায়ীরা চোরাকারবারীদের কাছে পাইকারি দামে এই খেজুর গুড় কিনে বাজারে বিক্রি করে থাকে। খোলা বাজারে তা ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের তৈরি খেজুর গুড় জেলাবাসীর কাছে ব্যাপক সমাদর পেয়েছে। ভোজন রসিকেরা জানান, বাংলাদেশের খেজুরের গুড়ের তৈরি পায়েস, মিষ্টি, সন্দেশ, পিঠেপুলির স্বাদই আলাদা। যে একবার তা খেয়েছে সে এর স্বাদ ভুলতে পারবে না। চোরাপথে এলেও তা জেলার খাদ্যরসিকদের মন কেড়েছে। এই গুড় ব্যবহারকারীরা বলেন, বাংলাদেশে গুড় তৈরিতে আসল খেজুর রস পুরোটা ব্যবহার করা হয়। জেলার তৈরি অনেক খেজুর গুড়ে নানা ভেজাল মেশানো থাকে। খেলেই স্বাদের ফারাক বোঝা যায়। বাংলাদেশের খেজুর গুড় পাচারকারীরা মূলত হিলির কাঁটাতার বিহীন সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে এদেশে নিয়ে এসে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে থাকে।
তবে বাংলাদেশের খেজুর গুড়ের কদর থাকায় দেশি গুড় বাংলাদেশের বলে বাজারে বিক্রি করছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। সেই দেশি গুড়ও বাংলাদেশের খেজুর গুড়ের মতোই তৈরি করা হয়। এই জেলায় তৈরি খেজুর গুড় ৭০ টাকা মূল্যে বাজারে বিক্রি হলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা ঝোপ বুঝে কোপ মেরে ক্রেতাদের কাছে তা ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দিচ্ছে। না চাখলে দেখে চেনার উপায় নেই কোনটা আসল বাংলাদেশি গুড়। ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন। কেনার পর স্বাদের ফারাক বুঝতে পেরে ক্রেতাদের মুখ ভার হয়ে যাচ্ছে। বাসিন্দারা দাবি করছেন, বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে গুড় আসাটাই বন্ধ করুক প্রশাসন। তাহলে নকল কারবার উঠে যাবে। বাজারে এদেশীয় ভালো গুড়ের কদর বাড়বে। ক্রেতাদেরও মন শান্তি পাবে।
বিএসএফের ১৯৯ ব্যাটিলিয়নের কমান্ড্যান্ট বিএস নেগি বলেন, গত বছর বাংলাদেশ থেকে পাচারের সময় আমরা প্রচুর খেজুর গুড় উদ্ধার করেছিলাম। এবছর সেরকম খবর এখনও আসেনি। আমরা কড়া নজরদারি রাখছি। জেলার ডেপুটি পুলিস সুপার ধীমান মিত্র বলেন, বিষয়টি নজরে রয়েছে। চোরাপথে আসা বাংলাদেশের যে কোন সামগ্রী বাজারে বিক্রি করা একেবারের বেআইনি। এনিয়ে আমরা অভিযান চালাব।