রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বেলা আড়াইটা নাগাদ মালদহ শহরের বৃন্দাবনী ময়দান থেকে শুরু হয় বইমেলার উদ্বোধনী পদযাত্রা। জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া, বইমেলার কার্যকরী সভাপতি তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অর্ণব চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য মহিলা কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন মৌসম নুর, ইংলিশবাজারের বিধায়ক নীহার ঘোষ, বইমেলা কমিটির সম্পাদক প্রবোধ মাহাত, যুগ্ম সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ির সঙ্গে পা মেলান ৩১তম মালদহ বইমেলার উদ্বোধক সাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তীও। এদিনের শোভাযাত্রার শুরুটা ছিল ইঙ্গিতবাহী। শাড়িতে সজ্জিতা তরুণীদের হাতে ছিল বিভিন্ন ধর্মের প্রতীক। ভারতবর্ষ যে বিভিন্ন ধর্মের ঐক্য ও সম্প্রীতিকে সব সময় গুরুত্ব দিয়ে এসেছে, সেই ঐতিহ্যই মূর্ত হয়ে ওঠে ওই তরুণীদের হাতে ধরা প্রতীকের মাধ্যমে। শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিল মালদহ শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা। ব্যান্ড বাজিয়ে সুশৃঙ্খল পদচারণার পাশাপাশি স্কুলগুলির পক্ষ থেকেও তুলে ধরা হয় সর্বজনীন ঐক্যের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার কথা।
বইমেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অম্লানবাবু বলেন, বইমেলা শুধু বিনোদন নয়। দেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রতি দায়বদ্ধতা থাকে মালদহ বইমেলার। তাই দেশজুড়ে চলতে থাকা সাম্প্রতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা জাতি, ধর্ম, ভাষা, নির্বিশেষে সকলের প্রতি সম্প্রীতি ও ঐতিহ্য রক্ষার আবেদন জানিয়েছি।
এছাড়াও পড়ুয়াদের মুখে ছিল বই পড়ার আহ্বান। আগামী প্রজন্মের মুখে পুস্তকমুখী হওয়ার এই সোচ্চার আবেদন শুনে এদিন বইয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখার ভরসা ফিরে পেয়েছেন প্রবীণরাও।
এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকাল সাড়ে চারটা নাগাদ, মালদহ কলেজ ময়দানে। প্রবেশ দ্বারের ফিতা কেটে ও মশাল জ্বালিয়ে বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বপ্নময় চক্রবর্তী। প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র সহ বিশিষ্টজনেদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। উদ্বোধন উপলক্ষ্যে নবনীতা দেব সেন মঞ্চে ছিল বইকে ঘিরে বিশিষ্টজনেরা বক্তব্য পেশ করেন।। উদ্বোধক সাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তী তাঁর বক্তব্যে মালদহ বইমেলা নিয়ে তাঁর মুগ্ধতার কথা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন। এই বিশিষ্ট সাহিত্যিক বলেন, হৃদয়ের উষ্ণতার ছোঁয়া থাকলে যেকোনও আয়োজনই সফল হতে বাধ্য। মালদহ বইমেলার এই সুবিশাল ও সফল আয়োজন তারই সাক্ষ্য বহন করছে। উদ্বোধক নির্দ্বিধায় স্বীকার করে নেন, কলকাতা বইমেলার পরে সারা রাজ্যের মধ্যে এত বড় বইমেলা তিনি এরাজ্যে আর কোথাও দেখেননি। এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে পাঠকের মুখোমুখি হন স্বপ্নময় চক্রবর্তী।
প্রথম দিনেই বইমেলা চত্বর ছিল সরগরম। এদিন সকালে, বইমেলা উদ্বোধনের আগে, ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান নীহার ঘোষ, ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার ও বইমেলা কমিটির সম্পাদককে নিয়ে মাঠে ঘুরে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পর্ব নিজেই খতিয়ে দেখেন জেলাশাসক। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসকও (উন্নয়ন)।