বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
উৎসব শুরুর আগে মালদহ জেলা কালেক্টরেটের কনফারেন্স হলে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে আয়েশা সিনহা বলেন, শিশু-কিশোরদের ক্ষমতায়ন এবং তাদের প্রতিভা তুলে ধরার লক্ষ্যে আমরা কাজ করি। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আমরা শিশু-কিশোরদের মধ্য থেকে ‘কমিউনিটি লিডার’ তৈরি করি। মালদহে এর আগেও আমরা ছোটদের চলচিত্র তৈরিতে উৎসাহ প্রদান করেছি। তবে এবার বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছে। প্রদর্শনীর জন্য বাছাই করা সাতটি স্বল্প দৈর্ঘের চলচিত্র তৈরীতে ছোটোরাই সব কাজ করেছে। শ্যুটিং থেকে শুরু করে এডিটিং সবই তারা নিজের হাতে করেছে। শিশু-কিশোররাই ওইসব ছবিতে অভিনয় করেছে। গত দেড় বছর ধরে তারা এব্যাপারে প্রস্তুতি নিয়েছিল। গ্রামের অজানা কাহিনী, সমাজের খারাপ দিকগুলি তারা ফুটিয়ে তুলেছে।
ইউনিসেফের প্রতিনিধি বলেন, মালদহের শিশু-কিশোরদের তৈরি চলচিত্র বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। শিশুদের সার্বিক বিকাশের ক্ষেত্রে এই ধরনের উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে। মালদহের চলচ্চিত্র উৎসব সম্পর্কে জানার পর এই ধরনের আরও কাজ করতে রাজ্যের অন্যান্য জেলার শিশু-কিশোররাও উৎসাহিত হবে।
এনজিও এবং ইউনিসেফের লোকজনের সঙ্গে এদিনের প্রদর্শিত চলচিত্রের নির্মাতা ও অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও ছিল। তাদের মধ্যে রতুয়ার বাসিন্দা ওয়াসিম আক্রম এবং পুরাতন মালদহের বাসিন্দা সাগরিকা বানজুড়িয়া বলে, লেখাপড়ার বাইরেও কিছু করার স্বপ্ন দেখতাম। বাল্যবিবাহ, পরিবেশ দূষণ সহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক এবং প্রাকৃতিক সমস্যা নিয়ে চলচ্চিত্র করার পরিকল্পনা নিই। ইউনিসেফ এবং একটি সংস্থার সহায়তায় আমরা কাজ শুরু করি। শ্যুটিংয়ের জন্য জায়গা নির্বাচন, ক্যামেরা চালানো, অভিনয়, পরিচালনা সবই আমরা নিজ হাতে করি। আমাদের মতো এজেলার আরও অনেকে ছবি তৈরি করেছে। তবে আমাদের ছবি কোনওদিন এই ধরনের উৎসবে প্রদর্শিত হবে, তা ভাবিনি। এদিন ছবির প্রদর্শনী দেখে ভালো লাগছে।
চৈতালি ঘোষ সরকার বলেন, মালদহের মতো প্রান্তিক জেলার ছোটরা চলচ্চিত্র পরিচালনা করছে জেনে খুশি হয়েছি। এই ধরনের কাজ আগামী দিনে আরও বেশি করে যাতে হয়, তা সকলের দেখা উচিত। শিশুদের মধ্যেও উদ্ভাবনী শক্তি রয়েছে। অভিভাবকদের সেদিকে নজর দিতে হবে। বাল্যবিবাহের মতো ক্ষতিকর দিক ছোটোদের চলচ্চিত্রে উঠে আসায় সমাজ শোধরাবে বলে আমরা আশাবাদী।