কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: হিমালয়ের সিঞ্চুলা রেঞ্জের অধীন বক্সা পাহাড়ে ঐতিহাসিক বন্দিনিবাস বক্সা ফোর্ট আজও অবহেলা ও অনাদরে রয়েছে। সংরক্ষণ ও সংস্কার না হওয়ায় রাজ্যের এই জাতীয় স্মারকটির শেষ ধ্বংসাবশেষটুকুও হারাতে বসেছে। বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা নেতৃত্ব দলের রাজ্য সভাপতি সংসদ সদস্য দিলীপ ঘোষের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারি অর্থে বক্সা ফোর্টের সংরক্ষণ ও সংস্কারের দাবি জানাতে চলেছে। ২৩ জানুয়ারি বক্সা ফোর্টে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীতে দিলীপবাবু সকালে বক্সা ফোর্টে জাতীয় পতাকা তুলবেন। তারপরেই কেন্দ্রীয় পুরাতাত্বিক বিভাগকে দিয়ে বক্সা ফোর্টের সংরক্ষণ বা সংস্কারের জন্য জেলা বিজেপি কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্যোগী হতে দিলীপবাবুর হাতে দাবি সনদ তুলে দেবে।
ফালাকাটা বিধানসভার উপনির্বাচন উপলক্ষে আজ, বুধবার দলের অভিনন্দন যাত্রায় অংশ নিতে ফালাকাটায় আসছেন গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি দিলীপবাবু। ফালাকাটায় দলীয় কর্মসূচি সেরে বিকেলেই দিলীপবাবু রাত কাটাতে যাবেন বক্সার পাহাড়ি লেপচাখা গ্রামে। পরের দিন বৃহস্পতিবার বক্সা ফোর্টে তিনি জাতীয় পতাকা তুলে নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাবেন।
বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, ক্রমশ ধ্বংসের পথে যাওয়া সত্ত্বেও ঐতিহাসিক বন্দি নিবাস বক্সা ফোর্টের সংরক্ষণ নিয়ে না বাম না তৃণমূল কোনও সরকারই উদ্যোগ নেয়নি। বক্সা ফোর্টের ইতিহাসকে কোনওভাবেই নতুন প্রজন্মের কাছ থেকে মুছে ফেলা যায় না। আমরা চাইছি, কেন্দ্রীয় সরকার এই ফোর্টের সংস্কার ও সংরক্ষণে এগিয়ে আসুক। সেই জন্যই দলের রাজ্য সভাপতি তথা দলের সংসদ সদস্যকে দলের তরফে এই দাবি জানানো হচ্ছে।
জেলার লোকসংস্কৃতি গবেষক প্রমোদ নাথ বলেন, বক্সা ফোর্টকে বাঁচাতে জেলাজুড়ে একটা আন্দোলন হওয়া উচিত। জেলার মানবাধিকার কর্মী সুমন গোস্বামী বলেন, ইতিহাসের প্রয়োজনেই বক্সা ফোর্টের সংরক্ষণ ও সংস্কারের কাজ জরুরি।
প্রসঙ্গত, ঐতিহাসিক বক্সা ফোর্ট একসময় ভুটানের সেনানিবাস ছিল। ১৯৩০ সালের পর বক্সা ফোর্টের দখল নেয় ব্রিটিশ সরকার। ব্রিটিশরা বক্সা ফোর্টকে প্রথমে তাদের সেনানিবাস ও পরে জেলাখানা হিসেবে গড়ে তোলে। ব্রিটিশ সরকার বক্সা ফোর্টে ত্রৈলোক্যনাথ মহারাজসহ বহু বিপ্লবীকে বন্দি করে রাখে। কমিউনিস্ট নেতা রাজ্যের প্রয়াত ভূমি রাজস্বমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ চৌধুরী, কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ও কিছুদিন বক্সা ফোর্টে বন্দি ছিলেন।
এরপর ১৯৫৯ সালে তিব্বতের গণ্ডগোলের সময় তিব্বতি লামা শরণার্থীদের বক্সা ফোর্টে আশ্রয় দেওয়া হয়। পরে তিব্বতি শরণার্থীরা সিমলাতে চলে গেলে বক্সা ফোর্ট পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বক্সা ফোর্টের জেলখানায় বিপ্লবীদের বন্দি করে রাখার জন্য প্রায় ৮-৯টি সেল ছিল। ওই জেল ছিল ইটের গাঁথনির। সেখানে একটি টেনিস কোর্টও আছে। ফোর্টের চারপাশে ছিল ফেন্সিং। সংরক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে সেই বক্সা ফোর্ট এখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। ১৯৯৩ সালের বন্যায় মাটি ধসে বক্সা ফোর্টটি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে তিনটি সেল ও টেনিস কোর্টটি কোনওরকমে টিকে আছে।
বক্সা ফোর্টের ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে বক্সা ফোর্টের সংরক্ষণ ও সংস্কারের দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছে আলিপুরদুয়ারবাসী। কিন্তু আজও সেই সংরক্ষণ ও সংস্কার হয়নি।
ফালাকাটা বিধানসভার উপনির্বাচন উপলক্ষে আজ, বুধবার দলের অভিনন্দন যাত্রায় অংশ নিতে ফালাকাটায় আসছেন গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি দিলীপবাবু। ফালাকাটায় দলীয় কর্মসূচি সেরে বিকেলেই দিলীপবাবু রাত কাটাতে যাবেন বক্সার পাহাড়ি লেপচাখা গ্রামে। পরের দিন বৃহস্পতিবার বক্সা ফোর্টে তিনি জাতীয় পতাকা তুলে নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাবেন।
বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, ক্রমশ ধ্বংসের পথে যাওয়া সত্ত্বেও ঐতিহাসিক বন্দি নিবাস বক্সা ফোর্টের সংরক্ষণ নিয়ে না বাম না তৃণমূল কোনও সরকারই উদ্যোগ নেয়নি। বক্সা ফোর্টের ইতিহাসকে কোনওভাবেই নতুন প্রজন্মের কাছ থেকে মুছে ফেলা যায় না। আমরা চাইছি, কেন্দ্রীয় সরকার এই ফোর্টের সংস্কার ও সংরক্ষণে এগিয়ে আসুক। সেই জন্যই দলের রাজ্য সভাপতি তথা দলের সংসদ সদস্যকে দলের তরফে এই দাবি জানানো হচ্ছে।
জেলার লোকসংস্কৃতি গবেষক প্রমোদ নাথ বলেন, বক্সা ফোর্টকে বাঁচাতে জেলাজুড়ে একটা আন্দোলন হওয়া উচিত। জেলার মানবাধিকার কর্মী সুমন গোস্বামী বলেন, ইতিহাসের প্রয়োজনেই বক্সা ফোর্টের সংরক্ষণ ও সংস্কারের কাজ জরুরি।
প্রসঙ্গত, ঐতিহাসিক বক্সা ফোর্ট একসময় ভুটানের সেনানিবাস ছিল। ১৯৩০ সালের পর বক্সা ফোর্টের দখল নেয় ব্রিটিশ সরকার। ব্রিটিশরা বক্সা ফোর্টকে প্রথমে তাদের সেনানিবাস ও পরে জেলাখানা হিসেবে গড়ে তোলে। ব্রিটিশ সরকার বক্সা ফোর্টে ত্রৈলোক্যনাথ মহারাজসহ বহু বিপ্লবীকে বন্দি করে রাখে। কমিউনিস্ট নেতা রাজ্যের প্রয়াত ভূমি রাজস্বমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ চৌধুরী, কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ও কিছুদিন বক্সা ফোর্টে বন্দি ছিলেন।
এরপর ১৯৫৯ সালে তিব্বতের গণ্ডগোলের সময় তিব্বতি লামা শরণার্থীদের বক্সা ফোর্টে আশ্রয় দেওয়া হয়। পরে তিব্বতি শরণার্থীরা সিমলাতে চলে গেলে বক্সা ফোর্ট পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বক্সা ফোর্টের জেলখানায় বিপ্লবীদের বন্দি করে রাখার জন্য প্রায় ৮-৯টি সেল ছিল। ওই জেল ছিল ইটের গাঁথনির। সেখানে একটি টেনিস কোর্টও আছে। ফোর্টের চারপাশে ছিল ফেন্সিং। সংরক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে সেই বক্সা ফোর্ট এখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। ১৯৯৩ সালের বন্যায় মাটি ধসে বক্সা ফোর্টটি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে তিনটি সেল ও টেনিস কোর্টটি কোনওরকমে টিকে আছে।
বক্সা ফোর্টের ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে বক্সা ফোর্টের সংরক্ষণ ও সংস্কারের দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছে আলিপুরদুয়ারবাসী। কিন্তু আজও সেই সংরক্ষণ ও সংস্কার হয়নি।
