পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিজেপির ইসলামপুর টাউন মণ্ডল সভাপতি সন্দীপ ভট্টাচার্য বলেন, ভোটার তালিকা তৈরি ও সংশোধনের কাজে দলবাজি চলছে। শাসক দলের কাউন্সিলাররা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাদের দলের সমর্থকদের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্ট করছে। তাদের দলের কেউ থাকলে সেক্ষেত্রে অভিযোগ করছে না। সিপিএমের ইসলামপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিকাশ দাস বলেন, শাসক দলের কাউন্সিলাররা বিএলওদের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিরোধীদের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে। এর আগে একবার আমার নিজের নামও বাদ দেওয়া হয়েছিল।
তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি তথা ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, বিরোধীদের অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। কাউন্সিলারারা কারও নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে পারেন না। নির্বাচন দপ্তর বিষয়টি দেখে। কারও নাম বাদ দেওয়ার আগে হেয়ারিং হয়। ইসলামপুর নির্বাচনী দপ্তরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অমরেশ দাস বলেন, ভোটার তালিকা সংশোধন অফলাইনে ১৫ জানুয়ারি শেষ দিন ছিল। এখন আর কেউ ফর্ম জমা করতে পারবে না। কাউন্সিলারদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা অপপ্রচার।
১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তৃণমূলের প্রাণগোপাল সাহা রায় বলেন, ১০-১৫ বছর আগে বিয়ে হয়ে অন্য শহরে চলে গিয়েছে, কিংবা অন্য কোথাও বাড়ি করে বসবাস করছেন তাঁদের চিহ্নিত করে ৭নং ফর্ম পূরণ করে জমা দিয়েছি। হেয়ারিংয়ে পরিষ্কার হবে। দলবাজির অভিযোগ মিথ্যা। ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তৃণমূলের রঞ্জিত দে বলেন, আমরা কারও নাম বাদ দিইনি। বিরোধীরা মিথ্যা প্রচার করছে। ১৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার জ্যোতি দত্ত বলেন, আমার ওয়ার্ডে কে কোন দল করে তা দেখি না। যার প্রয়োজন সে নাম ট্রান্সফার করছেন। এখানে যাঁদের বিয়ে হয়ে এসেছে তাঁরা নাম তোলার জন্য আবেদন করছেন। বিরোধীরা মিথ্যা প্রচার করছে।
স্থানীয়রা বলছে, পুরসভা এলাকায় অনেকেই আছে যাঁদের বিয়ে হয়ে অন্য কোথাও থাকছে। আবার অনেকে বাড়ি পরিবর্তন করে অন্য ওয়ার্ডে গিয়েছেন কিংবা অন্য শহরে গিয়েছেন। কারও মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে সেই সমস্ত নাম তালিকায় আছে। তাঁরা বিভিন্ন দলের ভোটার। প্রতি ভোটের সময় এই ধরনের কিছু নাম থাকে। ফলে অন্য কেউ পরিচয় বদলে ভোট দিয়ে থাকতে পারে। প্রতি এলাকাতেই বিএলও আছেন। তাঁরা এলাকায় খোঁজ খবর নেন এবং অভিযোগ আবেদনের ভিত্তিতে হেয়ারিং হয় তার পরেই নতুন নাম তোলা কিংবা বাদ দেওয়া হয়।