পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ইংলিশবাজার থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবকের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু হয়েছে। সোমবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে অভিযুক্ত যুবক নিজের পরিচয় আমাদের জানায়নি। সে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে এক একরকম কথা বলছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
ওই শিশুকন্যার মামা বলেন, আমরা বিয়েবাড়ি নিয়ে মেতে ছিলাম। সেখানে ছোটরা গানের তালে তালে নাচছিল। ওই সন্দেহভাজন যুবক শিশুদের নাচ দেখার অছিলায় দাঁড়িয়ে পড়ে। প্রথমে আমাদের কোনও সন্দেহ হয়নি। সাধারণ পথচারী বা আগন্তুক বলেই তাকে মনে হয়েছিল। তবে কিছুক্ষণ যাওয়ার পর তার হাবভাবে কিছুটা সন্দেহ হয়। তারই মধ্যে একফাঁকে ওই যুবক আমার ভাগ্নিকে কোলে নিয়ে হাঁটা দিতে শুরু করে। আমি চিৎকার করে তাকে দাঁড়াতে বলি। আমার চিৎকারে বিয়েবাড়ির অন্যান্যরাও ছুটে আসে। ওই যুবক দাবি করে, সে আমার ভাগ্নিকে বাজারে নিয়ে গিয়ে উপহার কিনে দিতে চাইছিল। অথচ তাকে আমরা কেউ চিনি না। হইচই শুরু হওয়ায় আমার দিদি এসে উপস্থিত হয়। ওই যুবক তারও অচেনা বলে দিদি জানিয়ে দেয়। ওই যুবক আমার ভাগ্নিকে অপহরণের চেষ্টা করছিল তখন আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই ভিড় বেড়ে যায়। ওই যুবককে অনেকেই জেরা শুরু করেন। যুবকের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা ধরা পড়ে। উত্তেজিত লোকজন যুবককে মারধর করে। পরে পুলিস এসে ওই অজ্ঞাতপরিচয় যুবককে থানায় নিয়ে যায়।
শিশুর মা বলেন, আমি বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে আমার মেয়েও নাচগান, আনন্দ করছিল। তারই মধ্যে ওই কাণ্ড ঘটে। অনুষ্ঠানের মাঝেই আমার মামাতো ভাই ছুটতে ছুটতে এসে বলে একজন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আমি ছুটে যাই। কিন্তু অভিযুক্ত যুবককে চিনতে পারিনি। সবাই মিলে চেপে ধরলে যুবক সাফাই দেয় যে সে আমার মেয়েকে মিষ্টি খাওয়াতে নিয়ে যাচ্ছিল। অচেনা কোনও যুবক আমাদের কিছু না বলে কেন মেয়েকে মিষ্টি খাওয়াতে নিয়ে যাবে, তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ হয়। তাছাড়া বিয়েবাড়িতে মিষ্টি সহ নানারকমের খাবারের আয়োজন রয়েছে। সেদিকে না গিয়ে ওই যুবক কেন মেয়েকে নিয়ে জাতীয় সড়কের দিকে যাওয়ায় অপহরণের চেষ্টা বলে আমাদের মনে হয়েছে। তবে যুবককে মারধরের ঘটনায় আমাদের পরিবারের কেউ জড়িত নেই। কয়েকজন তাকে চড়-থাপ্পর মেরেছিল। পুলিসের কাছে বিস্তারিত জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, ইংলিশবাজার শহরে অজ্ঞাতপরিচয় লোকজনের সন্দেহজনক গতিবিধি ক্রমশ বাড়ছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। এর আগেও শহরের বিভিন্ন জায়গায় সন্দেহভাজনদের গণপিটুনি দেওয়ার ঘটনার ঘটেছিল। কালিয়াচক, মোথাবাড়ি প্রভৃতি থানা এলাকা থেকে অনেকে রাতের শহরে আনাগোনা করছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চুরি, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তারা শহরের অলিগলিতে ঢুকছে। তবে, এভাবে ভরা অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে শিশু অপহরণের চেষ্টার নজির সাম্প্রতিককালের মধ্যে ঘটেনি বলে পুলিস আধিকারিকরা জানিয়েছেন।