কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
অভিযোগ, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বালুরঘাট শহরে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের একাংশ টিউশনের যুক্ত রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিকবার প্রাইভেট টিউটরদের তরফে আন্দোলন করা হয়েছে। এদিকে অভিভাবকদের একাংশ চান, স্কুলের শিক্ষকদের কাছেই পড়ুক তাঁদের সন্তানরা। তাই সরকারি শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতার বিরোধিতা করে আন্দোলনে যুক্ত বিশ্বাসপাড়ার বাসিন্দা প্রাইভেট টিউটর মানব সাহার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে অভিযোগ। রবিবার বিকেলে অভিভাবকরা মানববাবুর বাড়ির সামনে আন্দোলনে নামেন। বাড়ি থেকে বেরোতেই মানববাবু ও তাঁর স্ত্রীকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। প্রাইভেট টিউটরদের অভিযোগ, সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের একাংশ পরিকল্পনা করে এই হামলা চালিয়েছে। দ্রুত ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে প্রাইভেট টিউটরদের পক্ষ থেকে।
বালুরঘাট থানার আইসি জয়ন্ত দত্ত বলেন, খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইভেট টিউটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রদ্যুৎ মণ্ডল বলেন, সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চুটিয়ে প্রাইভেট টিউশন চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে চুপ রয়েছে। আমরা লাগাতার এই নিয়ে আন্দোলন চালিয়েছি। আমাদের আন্দোলন করার কারণে সংগঠনের সক্রিয় সদস্য মানব সাহার বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের একাংশ চক্রান্ত করে এই হামলা চালিয়েছে। দ্রুত এই নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব আমরা।
আক্রান্ত গৃহশিক্ষক মানব সাহা বলেন, সরকারি স্কুলের কিছু শিক্ষক রয়েছেন যাঁরা নিয়ম ভেঙে চুটিয়ে শিক্ষকতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আমরা এই নিয়ে আন্দোলন করার কারণে আমার বাড়িতে এমন হামলা চালানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বালুরঘাট শহরে এই সরকারি শিক্ষক ও গৃহশিক্ষকদের বিরোধ নতুন কিছু নয়। শহরে কয়েকশ’ অভিভাবক ও ছাত্র ছাত্রীদের এর আগে এই বিহয় নিয়ে আন্দোলনে নামতেও দেখা গিয়েছে। তাদের দাবি, সরকারি শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন কোনওভাবে বন্ধ করা যাবে না। এতে ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যত নষ্ট হবে। তাদের ভবিষ্যতের দিকে নজর দিয়ে দ্রুত ওই আইন তুলে প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
এদিকে গৃহশিক্ষকদের অভিযোগ, আন্দোলন করার পরে বিশ্বাসপাড়া ও নেপালি পাড়াতে একাধিক গৃহশিক্ষকদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। বাড়ির দরজা ধাক্কাধাক্কি করা হয়। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। ফের রবিবার এক গৃহশিক্ষকের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। গৃহশিক্ষকদের অভিযোগ, সরকারি কিছু শিক্ষক রয়েছেন, যাঁরা এই হামলায় মদত দিয়েছেন।