পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দাড়িভিট বাজারের রাস্তার পাশে নিহতদের নামে ব্যানার লাগানো ছিল। অভিযোগ, সোমবার বিকেলে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা সেই পোষ্টার খুলে ফেলেন। নিহতদের পরিবার সেই কাজে বাধা দিলে গন্ডগোল বাঁধে। এই ঘটনার পরে নিহতদের পরিবার দাড়িভিট বাজার এলাকায় ইসলামপুর থেকে গোয়ালপোখর যাওয়ার রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। টায়ার পুড়িয়েও বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষুব্ধদের দাবি, ওই ব্যানার খোলার ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে।
নিহত তাপস বর্মনের মা মঞ্জু বর্মন বলেন, আমার ছেলের নামে ওই এলাকায় ব্যানার লাগানো ছিল। সেই ব্যানার এলাকার এক তৃণমূল নেতা খুলে লাথি মেরে ফেলে দিয়েছিল। আমি তার প্রতিবাদ করি। সেসময় আমার দিকে ওই নেতা তেড়ে আসে। গালিগালাজ করে। এই ঘটনায় প্রতিবেশীরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। ওই ব্যানারকে যারা অপমান করেছে, তারা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে।
ইসলামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য লক্ষ্মীরানী বৈরাগীর স্বামী তৃণমূল নেতা কার্তিক বৈরাগী বলেন, বাজার এলাকায় আমাদের এক টুকরো জমি আছে। ওই জমির সামনে নিহতদের নাম লেখা ব্যানার লাগানো ছিল। ওই জমিতে আমরা মাটি ফেলে ঘর করবো। তাই এদিন সেখানে মাটি ফেলার জন্য ব্যানারটি খুলে পাশে রেখেছিলাম। কোনও অপমান করা হয়নি। এরপরে নিহত রাজেশের বাবা বাদল বর্মন এসে আমার সঙ্গে বচসা শুরু করেন। তিনি ধস্তাধস্তিও করেন।
ইসলামপুর থানার আইসি শমীক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ওই এলাকায় একটি পথ অবরোধ হয়েছে বলে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখছি।
এদিন বিকেলে দাড়িভিট বাজার এলাকায় দাড়িভিট কাণ্ডে নিহত তাপস ও রাজেশের পরিবার রাস্তা অবরোধ করে। স্থানীয়রাও তাঁদের সঙ্গে অবরোধে শামিল ছিলেন। সন্ধ্যার পরে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দাড়িভিট স্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। সেই আন্দোলন মুহূর্তের মধ্যে অশান্ত হয়ে ওঠে। ওই দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাপস ও রাজেশের। এই ঘটনায় গোটা রাজ্য তথা দেশ সেসময় তোলপাড় হয়ে যায়। তারপর বহু আন্দোলন হয়েছে, বহু রাজনৈতিক জলঘোলাও হয়েছে। নিহতদের পরিবার ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেছিল। রাজ্য সরকার সিআইডির হাতে তদন্তের ভার দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় দোষীদের মধ্যে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তারপর সময় যত কাটতে থাকে দাড়িভিটও তত শান্ত হতে শুরু করে। কিন্তু সোমবারের ঘটনায় ওই এলাকার পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করেছে।